অবশেষে অ্যাশেজ সিরিজ ২০২৩-এ জয় পেল বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড। হেডিংলি টেস্টে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়াকে ৩ উইকেটে পরাজিত করল তারা। এই ম্যাচে কামব্যাক করে অ্যাশেজ সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া এই মুহূর্তে ২-১ ব্যবধানে এই সিরিজে এগিয়ে আছে।
প্ৰথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৬০.৪ ওভারে ১০ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল। টপ অর্ডার পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হলেও অস্ট্রেলিয়াকে একটি সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন মিচেল মার্শ। তিনি ১১৮ বলে ১১৮ রানের একটি আক্রমনাত্মক ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসে ১৭টি চার এবং ৪টি ছয় ছিল। ট্র্যাভিস হেডও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তিনি ৭৪ বলে ৩৯ রান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্ৰথম ইনিংসে অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেছিলেন মার্ক উড। তিনি ১১.৪ ওভারে মাত্র ৩৪ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নিয়েছিলেন।
প্ৰথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার রানের থেকে ২৬ রান পিছনে ছিল। বেন স্টোকস একটি লড়াকু ইনিংস খেলেছিলেন। তিনি ১০৮ বলে ৮০ রান করেছিলেন। তিনি এই ইনিংসে ৬টি চার এবং ৫টি ছয় মারতে সক্ষম হয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণেই এই ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। কামিন্স ১৮ ওভারে ৯১ রান দিয়ে ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন হ্যারি ব্রুক
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের বোলারদের দাপটে মাত্র ২২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। প্ৰথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন ট্র্যাভিস হেড। তিনি ১১২ বলে ৭৭ রান করেন। তার ইনিংসে ৭টি চার এবং ৩টি ছয় ছিল। স্টুয়ার্ট ব্রড এবং ক্রিস ওকস যথাক্রমে ১৪.১ ওভারে ৪৫ রান এবং ১৮ ওভারে ৬৮ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট নেন। মার্ক উড এবং মইন আলি ২টি করে উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি এবং বেন ডাকেট যথাক্রমে ৫৫ বলে ৪৪ রান এবং ৩১ বলে ২৩ রান করেছিলেন। মইন আলি ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ১৫ বলে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এই ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন হ্যারি ব্রুক। তিনি ৯টি চার সহ ৯৩ বলে ৭৫ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। ক্রিস ওকস এবং মার্ক উড যথাক্রমে ৪৭ বলে ৩২ রান এবং ৮ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। মিচেল স্টার্ক এই ইনিংসে ৫টি উইকেট নিয়েও শেষমেশ দলকে জেতাতে পারেননি। ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৪ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয় ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন মার্ক উড।