কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে একটি দুর্দান্ত জয় পেয়েছে পাকিস্তান। একদিন বাকি থাকতেই এই ম্যাচটি জিতে নিয়েছে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল। এই ম্যাচটিতে শ্রীলঙ্কা এক ইনিংস এবং ২২২ রানে পরাজিত হয়েছে।
এই ম্যাচের উভয় ইনিংসেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। প্ৰথম ইনিংসে দিমুথ করুনারত্নের নেতৃত্বাধীন দল মাত্র ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। এই ইনিংসে ধনঞ্জয় দি সিলভা বাদে শ্রীলঙ্কার আর কোনো ব্যাটার খুব বেশি রান করতে পারেননি। সিলভা ৯টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৬৮ বলে ৫৭ রান করেছিলেন। এই ইনিংসে পাকিস্তানের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন আবরার আহমেদ। তিনি ২০.৪ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। নাসিম শাহ ৩টি উইকেট পেয়েছিলেন।
পাকিস্তান প্ৰথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে রানের পাহাড় গড়েছিল। ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক একটি দুর্দান্ত দ্বিশতরান করেছিলেন। তিনি ৩২৬ বলে ২০১ রান করেছিলেন। তার ইনিংসে ছিল ১৯টি চার এবং ৪টি ছয়। শান মাসুদ এবং সাউদ শাকিল যথাক্রমে ৪৭ বলে ৫১ রান এবং ১১০ বলে ৫৭ রান করেছিলেন। আগা সালমান একটি দুরন্ত শতরান করেছিলেন। তিনি ১৫৪ বলে ১৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তিনি এই ইনিংসে ১৫টি চার এবং ১টি ছয় মেরেছিলেন। মহম্মদ রিজওয়ান ৬৭ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তান শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ১৩৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৫৭৬ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নেন নোমান আলি
দ্বিতীয় ইনিংসেও প্ৰথম ইনিংসের মতোই অবস্থা হয় শ্রীলঙ্কার। দুই ওপেনার নিশান মাদুশকা এবং দিমুথ করুনারত্নে যথাক্রমে ৭২ বলে ৩৩ রান এবং ৬১ বলে ৪১ রান করেন। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ১২৭ বলে অপরাজিত ৬৩ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার এবং ২টি ছয়। এই তিনজন বাদে শ্রীলঙ্কার আর কোনো ব্যাটার এই ইনিংসে ২০ রানের গন্ডি পার করতে পারেননি।
এই ইনিংসে পাকিস্তানের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন নোমান আলি। তিনি ২৩ ওভারে ৭০ রান দিয়ে ৭টি উইকেট শিকার করেছিলেন। নাসিম শাহ ১৭.৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। প্ৰথম ইনিংসে একটি অসাধারণ দ্বিশতরান করার মাধ্যমে এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন আবদুল্লাহ শফিক।