বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের জোড়া সেঞ্চুরী ইনিংসটাই ভারতের জয়ের ভিতটা মজবুত করে দিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু ভাল বোলিং পারফরম্যান্সের। যে কাজটা শুরু করেছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ এবং নিখুঁতবাবে শেষ করলেন কুলদীপ যাদব। ভারতের ৩৫৬ রান তাড়া করতে নেমে ১২৮ রানেই শেষ হয়ে গেল পাকিস্তান। বিরাট ব্যাবধানে পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরের মঞ্চে যাত্রা শুরু করল টিম ইন্ডিয়া। ২২৮ রানে জয়ী ভারত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতলেই ফাইনালের রাস্তা কার্যত পাকা হয়ে যাবে ভারতের।
সোমবার রিজার্ভ ডে-তে নমেছিল ভারতীয় দল। সেখানেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন বিরাট কোহলি ও চোট সারিয়ে প্রত্যাবরক্তন করা লোকেশ রাহুল। পাকিস্তানের তারকা খচিত বোলিং লাইনআপ এদিন ভারতীয় দলের এই দুই তারকা ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা দেখাতে পারেননি। বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের সামনে মাথা নত করতে বাধ্যই হয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শা এবং শাদাব খানদের মতো তারকা বোলাররা। ভারতের দুই তারকার ব্যাট থেকেই এদিন ছিল সেঞ্চুরীর ঝলক।
১২২ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরার শিরোপা বিরাট কোহলির
সেইসঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের ২৩৩ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে সব জায়গা থেকেই এদিন এগিয়ে ছিলেন ভারতীয় দলের ব্যাটাররা। কেরিয়ারের ৪৭ তম ওডিআই সেঞ্চুরী চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধেই করেন বিরাট কোহলি। তাঁর ব্যাট থেকে ছিল চার ও ছয়ের বন্যা। বিরাট কোহলির ১২২ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। সেইসঙ্গে সেঞ্চুরী ইনিংস খেলেছেন লোকেশ রাহুলও। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১১১ রানে।
এই দুই তারকা ব্যাটারের হাত ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে্ ভারতীয় দল। এদি্ন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে্ ৩৫৬রান করে টিম ইন্ডিয়া। রানের পাহাড় তৈরি করলেও পাকিস্তান শিবিরেও ছিলেন তারকা ব্যাটাররা। তবে ভারতীয় দলের বোলাররাও ছিলেন অস্ধারণ ফর্মে। শুরুতেই ইমাম উল হককে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ।
এরপরই পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার বাবর আজমকে জমি শক্ত করার আগেই,সাজঘরের রাস্তাটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। বোল্ডহয়েই মাঠ চাড়তে হয়েছিল বাবর আজমকে। বাকিটা সামলে দিয়েছিলেন একাই কুলদীপ যাদব। যে মিডল অর্ডার পাকিস্তানের প্রধান শক্তি এবারস তাদেরকেই সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সলমন আলি, ইফতিকার আহমেদ, শাদাব খানদের ক্রিজে বেশীক্ষণ থাকতে দেননি তিনি। একাই তুলে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। রান দিয়েছেন ২৫।