মহম্মদ সামির পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়ার পারফরম্যান্সটাই জয়ের রাস্তাটা প্রস্তুত করে দিয়েছিল। সেই রাস্তাতে হেঁটেই ভারতীয় দলের ব্যাটারর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধ প্রথম ম্যাচে সহজেই জয় তুলে নিল। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। বল হাতে এই ম্যাচে যেমন পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মহম্মদ সামি। তেমনই অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতেও বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন শুভমন গিল, রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও লোকেশ রাহুলরা। এই জয়ের সঙ্গেই ওডিআই ক্রিকেটে শীর্ষস্থানে উঠে এল ভারত।
টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডারে চার ব্যাটারের ব্যাটেই এদিন এসেছে অর্ধশতরানের ঝলক। এশিয়া কাপের মঞ্চের পর এই সিরিজেও ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন লোকেশ রাহুল। ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফের একবার দেখা গেল সূর্যকুমার যাদববের থ্রি সিক্সটি ডিগ্রী শটের ঝলক। সব মিলিয়ে এদিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অসাধারণ টিম গেন প্রদর্শন করে সহজেই জয় তুলে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। পরের ম্যাচ জিততে পারলেই বিশ্বকাপের আগে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলতে পারবে তারা।
ওডিআই তালিকায় শীর্ষস্থানে পৌঁছল ভারত
টস জিতে এদিন প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। এই ম্যাচে জসপ্রীত বুমরার সহ্গে মহম্মদ সামির ওপরই ভরসা রেখেছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। শুরু থেকেই বল হাতে অসাধারণ ফর্মে ছিলেন মহম্মদ সামি। মিচেল মার্শের উইকেট নিয়ে যাত্রাটা শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার কোনও ব্যাটারই দাপট দেখাতে পারেননি। স্টিভ স্মিথ থেকে মার্কাস স্টয়নিসদের সাজঘরের রাস্তা দেখি্য়ে দিয়েছেন এদিন মহম্মদ সামিই। ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫১ রান দিয়ে তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন ৫ টি উইকেট।
শেষপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ২৭৬ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বি্ধ্বংসী ফর্মে ছিলেন ভারতীয় দলের দুই ওপেনার শুভমন গিল ও রুতুরাজ গায়কোয়াড। অস্ট্রেলিয়ার লড়াই করার সমস্ত ছকটা তারাই কার্যত ভেস্তে দিয়েছিলেন। শুভমন গিল ৭৪ রান এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৭১ রানের থেমেছিলেন এদিন। ভারতের ওপেনিং পার্টনারশিপই হয়েছিল ১৪১ রানের। সেটাই যে ভারতের জয়ের পিছনে অন্যতম প্রধান কারিগড় ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিন অস্ট্রেলিয়া একবারের জন্যও ভারতের হাত থেকে ম্যাচের দখল নিতে পারেনি। এদিন মাঠে ফের একবার সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকে থ্রি সিক্সটি ডিগ্রী শটের ঝলক এসেছিল। তিনিও অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। ৫০ রান করকেন সূর্যকুমার যাদব। লোকেশ রাহুলকে শেষপর্যন্ক আউট করতে পারেননি অজি বোলাররা। ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।