ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ১১ তম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশ একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এই ম্যাচে প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৫ রান তুলতে সক্ষম হল বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে কেন উইলিয়ামসন কামব্যাক করেছেন। তিনি টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। ম্যাচের প্ৰথম বলেই নিজের উইকেট হারান লিটন দাস। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান ১৭ বলে মাত্র ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মেহেদী হাসান মিরাজ শুরুটা বেশ ভালোভাবে করেছিলেন, কিন্তু সেটিকে তিনি বড় ইনিংসে রূপান্তরিত করতে পারেননি। তিনি ৪টি ছয় সহ ৪৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন।
নাজমুল হোসেন শান্ত এই ম্যাচে ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তিনি ৮ বলে মাত্র ৭ রান করে নিজের উইকেট হারান। এরপর সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম মিলে বাংলাদেশের ইনিংসের হাল ধরেন। তাদের দুজনের মধ্যে ৯৬ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। সাকিব ৫১ বলে ৪০ রান করে আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার এবং ২টি ছয়। অন্যদিকে, রহিম ৭৫ বলে ৬৬ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৬টি চার এবং ২টি ছয় মারেন।
তৌহিদ হৃদয় ব্যাট হাতে স্কোরবোর্ডে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেননি। তিনি ২৫ বলে ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তাসকিন আহমেদ ২টি ছয় সহ ১৯ বলে ১৭ রান করতে সক্ষম হন। মুস্তাফিজুর রহমান ১০ বলে মাত্র ৪ রান করে নিজের উইকেট হারান। মাহমুদউল্লাহ শেষ অবধি টিকেছিলেন। তিনি ২টি চার এবং ২টি ছয় সহ ৪৯ বলে অপরাজিত ৪১ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শরিফুল ইসলাম ৩ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এই ম্যাচে সুন্দর বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করে নিউজিল্যান্ড
এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন লকি ফার্গুসন। তিনি ১০ ওভারে ৪৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এই অভিজ্ঞ পেসার তানজিদ হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
ট্রেন্ট বোল্ট এবং ম্যাট হেনরি যথাক্রমে ১০ ওভারে ৪৫ রান এবং ১০ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন। মিচেল স্যান্টনার ১০ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। গ্লেন ফিলিপস ২ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট পান।