ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ১৮ তম ম্যাচে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। এই ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শের জোড়া শতরানের হাত ধরে পাহাড় সমান রানে পৌঁছতে সক্ষম হল অস্ট্রেলিয়া।
এই ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম টসে জেতেন এবং প্ৰথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ মিলে পাকিস্তানের বোলারদের সমস্যার মধ্যে ফেলে দেন। তারা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মকভাবে ব্যাটিং করতে থাকেন। তাদের দুজনের মধ্যে ২৫৯ রানের একটি অনবদ্য পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ওয়ার্নার। তিনি মাত্র ১২৪ বলে ১৬৩ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ১৪টি চার এবং ৯টি ছয় মারেন। অন্যদিকে, মার্শ ১০৮ বলে ১২১ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ৯টি ছয়।
এই ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে আসেন, কিন্তু তিনি পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন। ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার নিজের প্ৰথম বলেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। স্টিভ স্মিথ এবং জশ ইঙ্গলিস স্কোরবোর্ডে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেননি। স্মিথ ৯ বলে মাত্র ৭ রান করে নিজের উইকেট হারান। ইঙ্গলিস ৩টি চার সহ ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন।
মার্কাস স্টোইনিস ২৪ বলে ২১ রান করতে সক্ষম হন। তার এই ইনিংসে ছিল ১টি চার এবং ১টি ছয়। মার্নাস ল্যাবুশেনও স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। তিনি ১২ বলে মাত্র ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মিচেল স্টার্ক ৩ বলে মাত্র ২ রান করেন। জশ হ্যাজেলউড এই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। প্যাট কামিন্স এবং অ্যাডাম জাম্পা যথাক্রমে ৮ বলে ৬ রান এবং ১ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।
বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করলেন শাহীন আফ্রিদি
এই ম্যাচে পাকিস্তানের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন শাহীন আফ্রিদি। তিনি ১০ ওভারে ৫৪ রান দেন এবং ৫টি উইকেট তুলে নেন। তিনি মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টোইনিস, মিচেল স্টার্ক এবং জশ হ্যাজেলউডকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
হারিস রউফ ৮ ওভারে ৮৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। তিনি ডেভিড ওয়ার্নার, জশ ইঙ্গলিস এবং মার্নাস ল্যাবুশেনকে আউট করেন। উসামা মির ৯ ওভারে ৮২ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। তিনি স্টিভ স্মিথের উইকেটটি নিতে সক্ষম হন। এই ম্যাচটিতে শেষমেশ কোন দল জয় পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।