রুদ্ধ্বশ্বাস লড়াই। সেঞ্চুরীর পাল্টা নিউ জিল্যান্ডের সেঞ্চুরী। তবে শেষরক্ষা হল না। ধরমশালায় জয়ের ধারা অব্যহত রেখেই এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের ৮১ রান ও ট্রেভিস হেডের সেঞ্চুরীতে ভর করে জয়ের রাস্তাটা আগেই প্রশস্ত করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও পাল্টা লড়াইটা অসাধারণ করেছিল নিউ জিল্যান্ডও। সেখানেই শেষপর্যন্ত জয় এল অস্ট্রেলিয়ারই। শেষ ওভারে মিচেল স্টার্কের দুরন্ত স্পেনের সামনে মাথা নত করতেই হল নিউ জিল্যান্ডকে। ৫ রানে কিউইদের হারিয়ে লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানেই রইল অস্ট্রেলিয়া।
টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। শুরু থেকেই নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রেভিস হেড। এই দুই তারকা ব্যাটারের হাত ধরেই বড় রানের রাস্তাটা পাকা করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। চোট সারিয়ে এই ম্যাচেই ফিরেছিলেন ট্রেভিস হেড। আর সেখানেই তাদের ব্যাটে ছিল একের পর এক বড় শট। চোট সারিয়ে ফিরেই সেঞ্চুরী ইনিংস খেলে সকলকে কার্যত চমকে দিয়েছেন সকলকে। সেইসঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নারের ৮১ রানের দুরন্ত ইনিংস।
১০৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছেন ট্রেভিস হেড
এদিন শুরু থেকেই নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ফর্মে ছিল অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার। তাদের ১৭৫ রানের পার্টনারশিপটাই কার্যত সবকিছু ঠিক করে দিয়েছিল। যদিও এই দুজন ফেরার পরই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ খানিকটা দুর্বল বয়ে পড়েছিল। স্টিভ স্মিথ, লাবিুশানে থেকে মিচেল মার্শরা এদিন সেভাবে সফল হতে পারেননি। তবে লসেই জায়গা থেকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের একটা ঝোরো ৪১ রানের ইনিংস ফের অস্ট্রেলিয়ার রানে গতি এনেছিল। শেষের দিকে প্যাট কামিন্সের ১৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৮৮ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
https://twitter.com/DailyDetect/status/1718256080281845871
জবাবে ব্যাটিং করতে নিউ জিল্যান্ডও দুরন্ত লড়াই করছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। কিউইদের ওপেনিং পার্টনারশিপ৬১ রানে ভাঙে এদিন। সেই জায়গা থেকেই ফের এদিন জ্বলে উঠেছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১৬ রানের ইনিংস খেলে নিউ জিল্যান্ডকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। সেইসঙ্গে ড্যারিল মিচেল দুরন্ত অর্ধশতরান। অস্ট্রেলিয়া শিবিরে ভয় ধরানোর জন্য লতা যথেষ্ট ছিল। সেই জায়গা থেকেই লড়াইটা শুরু হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি।
শেষ ওভারে মিচেল স্টার্ক যখন বোলিং করতে এসেছিলেন সেই সময় নিউ জিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ক্রিজে ছিলেন জেমস নিশাম। দ্বিতীয় বলেই মিচেল স্টার্কের ওয়াইড ও ওভার থ্রোতে ফের অজি শিবিরে চিন্তার ভাঁজ দেখা গিয়েছিল। সেই সময়ই জিমি নিশামের রান আউট অজি শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছিল। সেই জায়গা থেকে আর ফিরতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। ৫ রানে ম্যাচ জিতে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া।