পুণেতে এদিন মিচেল মার্শের ঝড়। আর তাতেই শেষ ম্যাচেও ব্যর্থতার দুঃখ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল বাংলাদেশকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বড় রানের ইনিংস খেলেছিল বাংলাদেশ ব্রিগেড। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের জন্য যে সেই রান যথেষ্ট ছিল না তা বুঝিয়ে দিলেন মিচেল মার্শ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের মঞ্চ বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ধারা অব্যহত রাখলেন এই তারকা ক্রিকেটার। গত ্মযাচে দ্বিশতরানের ইনিংস খেলেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেড়শো রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয়ের সমস্ত আশা একাই শেষ করে দিলেন তিনি।
সেমিফাইনালে আগেই নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলেছিল অজি বাহিনী। এদিন ভারতের পর দ্বিতীয় স্থানে নিজেদের স্থান কার্যত পাকাপাকি করে ফেলল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বাংলাদেশের বোলারদের সাফল্য বলতে এদিন ট্রেভিস হে়ডকে ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরানো। এরপর থেকে মাঠে শুধুই ছিল মার্শ ঝড়। সেখানেই খরকুটোর মতো উড়ে গেল তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদের মতো বোলাররা। জয়ের ধারা অব্যহত রেখেই লিগ পর্ব শেষ করল অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৭৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যাচের নায়ক এদিন মিচেল মার্শ।
১৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা মিচেল মার্শ
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাত্র ২ উইকেট খুইয়েই জয় তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া। এদিন টস জিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে জিতেই মাঠ ছাড়তে চেয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরও। সেখানে শুরু থেকেই বেস আক্রমণাত্মক ছিলেন লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তরা। যদিও তারা অর্ধশতরানের গন্ডী টপকাতে পারেননি। কিন্তু তওহিদ হৃদয় এদিন দুরন্ত ফর্মে ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
শেষের দিকে মাহমুদুল্লাহ ও মেহেদী হাসানদের হাত ধরে ৩০৬ রানে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ। রানটা বড় হলেও এদিন অস্ট্রেলিয়াকে আটকানোর তা যথেষ্ট ছিল না। যদিও এই ম্যাচেও ওপেনিংয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন তারকা অজি ক্রিকেটার ট্রেভিস হেড। মাত্র ১০ রামেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের বোলারদের সাফল্য বলতে এটুকুই এদিন। সেখান থেকেই মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নারের ১২০ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ অস্ট্রেলিয়ার জয়ের রাস্তাটা পাকা করে দিয়েছিল। যদিও ডেভিড ওয়ার্নার ৫৩ রানেই থেমে গিয়েছিলেন।
সেই জায়গা থেকেই অস্ট্রেলিয়াকে জয়ার মঞ্চে পৌংছে দেওয়ার দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মিচেল মার্শ। স্টিভ স্মিথ তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেও, মার্শকে আটকানোর কেউই এদিন চটিল না বাংলাদেশের শিবিরে। ৮৭ বলে বিশ্বকাপের মঞ্চে দ্বিতীয় সেঞ্চুরী করেন তিনি। শেষপর্যন্ত ১৭৭ রানে অপরাজিত খেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই তাকা ক্রিকেটার। তাঁর গোটা ইনিংসটি সাজানো রয়েছে ১৭টি চার ও ৯টি ওভার বাউন্ডারি। তাঁরই সঙ্গে ৬৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন স্টিভ স্মিথও।