ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর মঞ্চে পাকিস্তানকে ৯৩ রানে হারাল ইংল্যান্ড। এই টুর্নামেন্টে এটি ছিল তাদের তৃতীয় জয়। অন্যদিকে, বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলের জন্য এটি ছিল পঞ্চম পরাজয়।
চলতি ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা নিয়ে এই ম্যাচে খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তাদের আশা শেষমেশ আর পূরণ হয়নি। এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার ডেভিড মালান এবং জনি বেয়ারস্টোর মধ্যে ৮২ রানের একটি দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। মালান ৫টি চার সহ ৩৯ বলে ৩১ রান করেন। অন্যদিকে, বেয়ারস্টো ৭টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৫৯ বলে ৬১ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। এরপর জো রুট এবং বেন স্টোকসের মধ্যে ১৩২ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস গড়ে ওঠে। রুট ৪টি চার সহ ৭২ বলে ৬০ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে, স্টোকস ৭৬ বলে ৮৪ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ১১টি চার এবং ২টি ছয় মারেন।
হ্যারি ব্রুক এবং জস বাটলার যথাক্রমে ১৭ বলে ৩০ রান এবং ১৮ বলে ২৭ রান করেন। মইন আলি ৬ বলে মাত্র ৮ রান করে নিজের উইকেট হারান। ডেভিড উইলি মাত্র ৫ বলে ১৫ রান করেন। শেষমেশ ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩৭ রান করে ইংল্যান্ড। হারিস রউফ ৩টি উইকেট শিকার করেন। শাহীন আফ্রিদি এবং মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ২টি করে উইকেট নেন। ইফতিখার আহমেদ ১টি উইকেট পান।
৩৯ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালোভাবে করতে পারেনি পাকিস্তান। ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ২ বলে ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার ফখর জামানও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তিনি ৯ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন। অধিনায়ক বাবার আজম ব্যাট হাতে শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেন, কিন্তু তিনি বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তিনি ৬টি চার সহ ৪৫ বলে ৩৮ রান করে নিজের উইকেট হারান। মহম্মদ রিজওয়ান ৫১ বলে ৩৬ রান করতে সক্ষম হন।
সাউদ শাকিলের ব্যাট থেকে ২৯ রান আসে। আগা সালমান ৪৫ বলে ৫১ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ১টি ছয়। ইফতিখার আহমেদ এবং শাদাব খান ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন। ইফতিখার ৫ বলে মাত্র ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অন্যদিকে, শাদাব খান ৭ বলে মাত্র ৪ রান করেন। শাহীন আফ্রিদি ২৩ বলে ২৫ রান করতে সক্ষম হন।
শেষে হারিস রউফ এবং মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র মিলে ৫৩ রানের একটি দারুণ পার্টনারশিপ করেন। রউফ ২৩ বলে ৩৫ রান করে আউট হন। মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ১৪ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ৪৩.৩ ওভারে ২৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ডেভিড উইলি ৩টি উইকেট শিকার করতে সক্ষম হন। আদিল রশিদ, গাস অ্যাটকিনসন এবং মইন আলি ২টি করে উইকেট নেন। ক্রিস ওকস ১টি উইকেট পান।