ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এ ভারতের ট্রফি জেতার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠতম ওডিআই বিশ্বকাপ ট্রফি জিতল অস্ট্রেলিয়া।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ভারত শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছিল। প্ৰথম ১০ ওভারে ৮০ রান করতে সক্ষম হয়েছিল রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল। শুভমন গিল এবং শ্রেয়স আইয়ার এই ম্যাচে ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন। গিল ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে নিজের উইকেট হারান। অন্যদিকে, আইয়ার ৩ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। রোহিত শর্মা ৩১ বলে ৪৭ রান করতে সক্ষম হন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ৩টি ছয়। বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুল যথাক্রমে ৬৩ বলে ৫৪ রান এবং ১০৭ বলে ৬৬ রান করেন। তাদের মধ্যে ৬৭ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে।
রবীন্দ্র জাদেজা এবং সূর্যকুমার যাদব ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করতে পারেননি। জাদেজা ২২ বলে মাত্র ৯ রান করে নিজের উইকেট হারান। সূর্যকুমার ২৮ বলে ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। শেষমেশ ৫০ ওভারে ১০ উইকেটে ২৪০ রান করে ভারত। মিচেল স্টার্ক ৩টি উইকেট নেন। জশ হ্যাজেলউড এবং প্যাট কামিন্স ২টি করে উইকেট পান। অ্যাডাম জাম্পা এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
৭ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচটি জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া
ভারতের বোলাররা ৪৭ রানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ৩টি উইকেট ফেলে দিয়েছিল। ডেভিড ওয়ার্নার ৩ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন। মিচেল মার্শ ১৫ বলে ১৫ রান করতে সক্ষম হন। স্টিভ স্মিথ ৯ বলে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওপেনার ট্র্যাভিস হেড এবং মার্নাস ল্যাবুশেন মিলে ১৯২ রানের একটি অনবদ্য পার্টনারশিপ করেন। হেড ১২০ বলে ১৩৭ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ১৫টি চার এবং ৪টি ছয় মারতে সক্ষম হন।
মার্নাস ল্যাবুশেন ১১০ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ৪৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২৪১ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয় প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দল। জসপ্রীত বুমরাহ ২টি উইকেট শিকার করেন। মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজ ১টি করে উইকেট নেন। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ট্র্যাভিস হেড।