ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ব্র্যান্ড ভ্যালু বছরের পর বছর বেড়েই চলেছে। ২০২২-এ আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বছর তা বেড়ে হয়েছে ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুতরাং, মাত্র এক বছরের মধ্যেই এই টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৮০ শতাংশ বেড়ে গেছে। আইপিএলের ব্যবসায়িক এন্টারপ্রাইজ মূল্যও ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এর মূল্য ছিল ৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে যা ১৫.৪ বিলিয়নে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। হাউলিহান লোকের একটি সমীক্ষার মাধ্যমে এই তথ্যগুলি পাওয়া গেছে।
পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) এই ব্র্যান্ড ভ্যালুর তালিকায় সবার উপরে রয়েছে। বর্তমানে তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু হল ২১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের বছরে তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ১৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ, তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু এক বছরের মধ্যেই ৪৫.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখনও পর্যন্ত একটিও আইপিএল ট্রফি জিততে না পারলেও এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। ২০২২-এ আরসিবির ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ১২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক বছরের মধ্যেই তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৫২.৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু হল ১৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ব্র্যান্ড ভ্যালুর তালিকায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে
পাঁচবারের শিরোপাজয়ী দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (এমআই) ব্র্যান্ড ভ্যালুর তালিকায় আরসিবির ঠিক পরেই রয়েছে। তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু হল ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর এটি ছিল ১৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু গত বছরের তুলনায় ৩৪.৮ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) গত ৯ বছরে একটিও আইপিএল ট্রফি জিততে পারেনি। কিন্তু এর জন্য তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালুর বৃদ্ধিতে কোনও প্রভাব পড়েনি। ২০২২ সালে কেকেআরের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ১২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাত্র এক বছরের মধ্যেই এই সংখ্যাটা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু হল ১৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দুইবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের ব্র্যান্ড ভ্যালু আগের বছরের তুলনায় ৪৮.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্র্যান্ড ভ্যালুর হার বৃদ্ধির দিক দিয়ে সবকটি ফ্রাঞ্চাইজিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস (আরআর)। তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু গত বছরের তুলনায় ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।