মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (এমআই) ও গুজরাত টাইটান্স (জিটি) আইপিএল ২০২৩-এর কোয়ালিফায়ার ২-এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। টাইটান্সের ইনিংস চলাকালীন উইকেটকিপার ঈশান কিষান চোখে আঘাত পান। চোখে হাত রেখে ফিজিওর সঙ্গে ঈশানকে মাঠ ছাড়তে দেখা গিয়েছিল।
ঈশান চোটটি পেয়েছিলেন যখন একটি ওভারের শেষে ক্রিস জর্ডান উইকেটকিপারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং দুজনের কেউই একে অপরের দিকে তাকাননি। তখনই ইংল্যান্ডের পেসারের কনুই কিপারের চোখে লেগেছিল। এর ফলে ঈশান ব্যাথায় কাতর হয়ে বাম চোখে হাত দিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান।
ইনিংসের বাকি অংশে স্টাম্পের পিছনে ঈশানের জায়গায় এসেছিলেন বিষ্ণু বিনোদ। বিষ্ণু উইকেটকিপিং করে দিলেও, ব্যাটিংয়ের সময়ে ঈশানের অবদান গুরুত্বপূর্ণ হবে মুম্বাইয়ের জন্য। সাধারণত ওপেনার হিসেবে খেললেও, মুম্বাইয়ের ইনিংসের শুরুতে এই বিস্ফোরক ব্যাটার ব্যাটিং করতে নামেননি। পরিবর্তে নেহাল ওয়াধেরা অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনার হিসেবে নেমেছিলেন।
আইপিএল ২০২৩-এ শুবমান গিলের তৃতীয় সেঞ্চুরি
শুবমান গিলের বিধ্বংসী সেঞ্চুরির সৌজন্যে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা প্রথম ইনিংসে বিশাল স্কোর নিয়ে শেষ করেছে। জিটি ওপেনার ৬০ বলে ১২৯ রান করেছিলেন এবং তাঁর ইনিংসে দশটি ছক্কা এবং সাতটি চার ছিল। ২১৫ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাটিং করেছেন গিল এবং জিটি ২০ ওভারের শেষে ২৩৩/৩ স্কোর খাড়া করেছিল। আইপিএলের এক মরসুমে ন্যূনতম তিন সেঞ্চুরি করা তৃতীয় ক্রিকেটার হয়েছেন গিল। বিরাট কোহলি (২০১৬) ও জস বাটলার (২০২২) অন্য দুই ক্রিকেটার যাঁরা আইপিএলের এক মরসুমে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন।
এর পাশাপাশি, গিল আইপিএল প্লে-অফের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ডও নিজের নামে করেছেন। আগের রেকর্ডটি ছিল বীরেন্দর সেহওয়াগের কাছে। আইপিএল ২০১৪-এর কোয়ালিফায়ার ২-এ ৫৮ বলে ১২২ রান করেছিলেন সেহওয়াগ। চলমান প্রতিযোগিতায় ফাফ ডু প্লেসিকে টপকে জিটি ওপেনার অরেঞ্জ ক্যাপও দখল করেছেন। চলমান সংস্করণে গিলের সংগ্রহে এখন ৮৫১ রান।
মুম্বাইয়ের সামনে ২৩৪ রানের লক্ষ্য খাড়া করার পরে গুজরাত চায়বে পরপর দুই মরসুমের ফাইনালে জায়গা করে নিতে। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন দল ফাইনালে উঠলে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দল হবে চেন্নাই সুপার কিংস।