১৬ বছর পর প্রথম ট্রফি এলো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ঘরে। যদিও বিরাট বাহিনী নয়, অবদান রাখলো মেয়েরাই। দ্বিতীয় মরসুমের ডব্লিউপিএলে সেরার শিরোপা জিতে নিল স্মৃতি মান্ধানার দল। যদিও এখনো ট্রফি অধরা বিরাট কোহলিদের। রবিবার ছিল ওমেন্স প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল। যে ম্যাচ খেলতে দিল্লির বিরুদ্ধে নেমেছিল আরসিবি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল পাঁচ রান। প্রথম দু বলে এক রান করে নেওয়ার পর তৃতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বেঙ্গালুরুকে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন করলেন বঙ্গ তনয়া রিচা ঘোষ। এই দিল্লি ক্যাপিটালস এর কাছে এই গ্রুপ লিগে দ্বিতীয় সাক্ষাতে পরাজিত হয়েছিল বেঙ্গালুরু। সেই সময় একরানে পরাজিত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন রিচা ঘোষ। দৃশ্যটা সম্পূর্ণ বদলে গেল রবিবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। ফাইনাল খেলতে নেমে দিল্লি ১১৩ তোলার পর ১৯.৩ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে নেয় বেঙ্গালুরু। শ্রেয়াঙ্কা পাটিলের বিধ্বংসী বোলিং প্রথমেই অনেকটা এগিয়ে দেয় স্মৃতি মান্ধানার দলকে। পরবর্তীতে ব্যাট করতে নেমে সোফি ডিভাইন, এলিস পেরিদের ব্যাটিং এই জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। রিচা অপরাজিত থাকেন ১৪ বলে ১৭ রান করে।
এই অনবদ্য জয়ের পর উচ্ছ্বসিত রিচা ঘোষ বলেন, ‘একটু তো চাপে ছিলামই। পেরি আমাকে অনেকটাই সাহায্য করেছে। শুধু বলে যাচ্ছিল বাউন্ডারি চাই না। মাঠে টিকে থাকতে হবে। ধৈর্য ধরে খেলতে হবে।’ অধিনায়ক স্মৃতি গত বছর সফল না হলেও যেভাবে আরসিবির ভক্তরা ও টিম ম্যানেজমেন্ট পাশে ছিল তাতে তিনি প্রশংসা করে বলেন, ‘ গত বছর আমরা অনেক কিছু শিখেছি। একজন অধিনায়ক খেলোয়াড় এবং দল হিসেবে আমরা থাকার চেষ্টা করেছি। সমর্থকদের পাশাপাশি ম্যানেজমেন্ট আমাদের উপর ভরসা রেখেছে। এই জয় তাই আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।’ তিনি এই প্রসঙ্গে আনন্দ প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘ এখনো যেন পুরোপুরি জয়ের আনন্দটা অনুভব করতে পারছি না। একটু সময় লাগবে হয়ত। তাই বেশি উচ্ছ্বাস দেখাতে পারছি না। তবে একটাই কথা বলতে পারি এই দলটির জন্য আমি গর্বিত।’ তিনি এর পাশাপাশি দলের এই গোটা পথ চলাটার স্মৃতিচারণ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘অনেক ওঠা পড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি আমরা। কিন্তু কখনোই হাল ছাড়িনি। আজ দুরন্তভাবে শেষ পথটুকু পেরিয়েছি।’
ম্যাচের সেরা ঘোষিত হয় সোফি। তিনিই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ২৯ হাজার দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়ামে ট্রফি তুলে নেয় আরসিবি। ছেলেদের না পাওয়া কীর্তি অর্জন করলো নারীরা। রচিত হলো স্বপ্নপূরণের এক অনবদ্য আখ্যান।










