একটি রিপোর্টের মাধ্যমে জানা গেছে যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৩-এর আয় ১০,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গতবারের আয়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি টাকা উপার্জন করেছে আইপিএল।
সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আইপিএলের ১৬ তম সংস্করণের আয়ের পরিমাণ হল ১০,১২০ কোটি টাকা। এই টাকার ভাগ পেয়েছে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই), সম্প্রচারকারী সংস্থা, ১০টি ফ্রাঞ্চাইজি এবং ফ্যান্টাসি গেমস। এই ১০,১২০ কোটি টাকার ৬৫ শতাংশ বিসিসিআই, সম্প্রচারকারী সংস্থা এবং ফ্রাঞ্চাইজিগুলির হাত ধরে এসেছে। বাকি ৩৫ শতাংশ আয় পরোক্ষ পথে এসেছে।
এইবছর প্রথমবারের জন্য আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব টেলিভিশন এবং ডিজিটালের জন্য আলাদাভাবে বিক্রি করা হয়েছিল। আইপিএল টেলিভিশনে সম্প্রচার করার অধিকার পেয়েছিল স্টার স্পোর্টস। অন্যদিকে, ডিজিটাল সম্প্রচারের অধিকার পেয়েছিল জিও সিনেমা। আইপিএল ২০২৩ থেকে এই দুটি সংস্থা মোট ৪,৭০০ কোটি টাকা আয় করেছিল। ফ্যান্টাসি গেমস বিসিসিআই এবং ফ্রাঞ্চাইজিগুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি টাকা আয় করেছে। তারা ২৮০০ কোটি টাকা উপার্জন করেছে। এই মরসুম থেকে ১০টি ফ্রাঞ্চাইজি মোট ১,৪৫০ কোটি টাকা আয় করেছে। বিসিসিআই আয়ের পরিমাণ হল ৪৩০ কোটি টাকা। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আইপিএলের এই মরসুমটি চলাকালীন প্রায় ৬১ মিলিয়ন মানুষ ফ্যান্টাসি গেমস খেলেছিলেন।
প্রত্যাশার অনুযায়ী আয় হয়নি, জানাল রেড সিয়ার
আইপিএলের এত পরিমাণ অর্থ উপার্জন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে হইচই শুরু হয়ে গেছে। তবে রেড সিয়ারের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে যা আশা করা হয়েছিল তার থেকে ১০০ কোটি টাকা কম আয় করেছে এবারের আইপিএল।
রেড সিয়ার একটি রিপোর্টে বলেছে, “আইপিএল হল সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ক্রীড়া ইভেন্ট, যেখানে সারাদেশের ভক্তরা তাদের প্রিয় দলকে ট্রফি জিততে দেখতে চায়। সরাসরি ম্যাচ দেখাও এখন আর লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়, তাই তারা এটিকে ফ্যান্টাসি লিগে নিয়ে যায় – একটি ভার্চুয়াল খেলা যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বাস্তব জীবনের খেলোয়াড় এবং ভার্চুয়াল টাকার উপর ভিত্তি করে তাদের নিজস্ব দল তৈরি করতে পারে।”
রেড সিয়ারের পার্টনার উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, “শীর্ষ ৩টি প্ল্যাটফর্ম আইপিএল ২০২৩-এ প্রায় ৯৬% মার্কেট শেয়ার দখল করেছে এবং মরসুমে প্রতি ব্যবহারকারীর গড় আয় ছিল ৪৫৮ টাকা। আইপিএলের উত্তেজনা সেই সময় অন্য খেলার ইভেন্টগুলিতেও ছড়িয়ে পড়েছিল, যা আয়ে ১৩% অবদান রেখেছে।”










