“পান্ডিয়া মাহির কাছ থেকে শিখেছে কীভাবে শান্ত থাকতে হয়” – হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্বের প্রশংসা করলেন আকাশ চোপড়া
আপডেট করা – Jun 1, 2023 9:20 pm
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৩-এর ফাইনালে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্সকে (জিটি) ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৫ উইকেটে পরাজিত করেছে এমএস ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে)। ২০২২ সালের মরসুমে শিরোপা জেতার পর এই মরসুমে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে জিটিকে।
অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্বের প্রশংসা করেছেন। জিটি আইপিএলের ১৫ ও ১৬ তম সংস্করণে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে প্ৰথম দল হিসেবে প্লেঅফসে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। সম্প্রতি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ আকাশ চোপড়া হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্বের প্রশংসা করেছেন। তার মতে হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্ব ছাড়া গুজরাট টাইটান্স এতদূর পৌঁছাতে পারত না। তিনি বলেছেন যে এমএস ধোনির কাছ থেকেই হার্দিক শিখেছেন কিভাবে শান্ত থাকতে হয়।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলের একটি ভিডিওতে আকাশ চোপড়া বলেন, “হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্ব, এই কাজটি অধিনায়কত্ব ছাড়া করা যেত না। তিনি প্রশান্তি আনেন, তিনি আত্মবিশ্বাস আনেন, তিনি বিশ্বাস আনেন।”
তিনি আরও বলেন, “তিনি বলেছেন যে তিনি মাহির কাছ থেকে শিখেছেন কীভাবে শান্ত থাকতে হয়। অন্যথায় তিনি একজন চকচকে খেলোয়াড়। এই শান্ততা এবং চাকচিক্য আসলে একে অপরের সাথে যায় না। আপনি যদি ধোনিকে শান্ত হিসেবে দেখেন, তবে তিনি জাঁকজমকপূর্ণ নন, তাকে বর্ণনা করা খুব কঠিন। আপনি যদি কোহলিকে সাবলীল হিসাবে দেখেন তবে তিনি শান্ত নন, তিনি আক্রমণাত্মক। হার্দিক পান্ডিয়া সেই ভারসাম্য খুঁজে পাচ্ছেন, উভয় জগতের সেরা।”
আইপিএলের ১৬ তম সংস্করণে হার্দিক পান্ডিয়া ৩৪৬ রান করেছেন এবং ৩টি উইকেট নিয়েছেন
আইপিএল ২০২৩-এ হার্দিক পান্ডিয়া ১৬টি ম্যাচে খেলে ৩৪৬ রান করেছেন এবং ৩টি উইকেট নিয়েছেন। এই মরসুমে বল হাতে তিনি খুব একটা ভালো প্রদর্শন করতে পারেননি। তিনি ১১টি ইনিংসে বল করে ৯.১২ ইকোনমি রেটে রান দিয়েছেন।
ব্যাট হাতে তিনি টপ অর্ডারে নামতেন। এই মরসুমে তার ব্যাটিংয়ের গড় এবং স্ট্রাইক রেট হল যথাক্রমে ৩১.৪৫ এবং ১৩৬.৭৬। তার সর্বোচ্চ রান হল ৬৬। এই মরসুমে তিনি ২টি অর্ধশতরান করেছেন।
তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের (এমআই) বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার ২-এ এবং চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ফাইনালে ব্যাট হাতে শেষের দিকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। তিনি এমআই এবং সিএসকের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ১৩ বলে অপরাজিত ২৮ রান এবং ১২ বলে অপরাজিত ২১ রান করেছিলেন।