Haris Rauf. (Photo by Mark Kolbe/Getty Images)
শাহিদ আফ্রিদি একটি বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করলেন যে, ‘হ্যারিস রউফের বিগ ব্যাশ লীগ না খেলে এই মুহূর্তে দেশের হয়ে টেস্ট খেলা উচিত ছিল।’ তিনি মনে করেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বিনিয়োগের সময় ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে আরো গভীরে চিন্তা করা উচিত। অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলতে থাকা বক্সিং ডে টেস্ট থেকে ব্যক্তিগত কারণ প্রদর্শন করে হ্যারিস রউফ নিজের নাম প্রত্যাহার করেছেন। প্রাক্তন অধিনায়ক তথা তারকা ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি বিষয়টি একদমই ভালো চোখে নেয়নি। তিনি কার্যত ফাস্ট বোলারকে উদ্দেশ্য করে শুনিয়েছেন, ‘তাঁর অবশ্যই এই টেস্টের অংশ হওয়া উচিত ছিল।’
বোর্ড কতৃক এই সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা হওয়ার পূর্বেই হ্যারিস রউফ তাঁর নাম প্রত্যাহার করে নেন। কারণ হিসাবে তিনি ব্যাখ্যা করেন, বেড়ে চলা কাজের চাপ সামলাতে ও শরীরকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই তাঁর এহেন সিদ্ধান্ত। কিন্তু অন্যদিকে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ায় চলতে থাকা বিগ ব্যাশ লীগে মেলবোন স্টার্স এর হয়ে তিনি সিরিজ চলাকালীন ইতিমধ্যেই চারটি ম্যাচ খেলে নিয়েছেন। এদিকে পাকিস্তান এমন একটি স্কোয়াড নিয়ে সফরে গিয়েছিল, যাকে অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞরা প্রথম শ্রেণীর দল বলেই মনে করছেন না। যে দলে মূলত খুব কম উচ্চগতির অধিকারী প্লেয়াররা উপস্থিত ছিল। মাঝারি জোরে বোলার খুররম শাহাজাদ এই টেস্টে অংশ নিয়েছেন। আমির জামাল জীবনের প্রথম টেস্ট খেলছেন। অন্যদিকে মীর হামজা ও হাসান আলির ক্ষেত্রে সেটি দ্বিতীয়। পাকিস্তানের পেস্ট ব্যাটারির তরুণ তুর্কি হিসেবে শাহীন শাহ আফ্রিদির নাম উল্লেখ করা যায়। কিন্তু তিনিও হাঁটুর চোটের পর থেকে পুরনো ছন্দে ফিরতে পারেননি। হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার গতির ক্ষেত্রে অনেক সময় সমস্যা দেখা যায় এবং বেশিরভাগই ১৩০কিমি প্রতি ঘন্টা গতিবেগে বা তার কম গতিতে বল করেন।
শাহিদ আফ্রিদি এদিন এমসিজিতে মিডিয়ার সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন জানান, ‘ আমি মনে করি হ্যারিসের বিবিএলের পরিবর্তে এই দলের অংশ হওয়া উচিত ছিল।’
তিনি আরও জানান, ‘ এই পরিস্থিতিতে তার যে ধরনের গতি আছে সে খুব ভালো পারফর্ম করতে পারত। পার্থে এবং এখানে অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি পিচগুলো তাঁর জন্য কার্যকরীও হতো।’
তিনি জানান, ‘ আমি সবসময় বলেছি যে পাকিস্তানের বেঞ্চ শক্তিশালী না হলে বোর্ড কখনো সেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। মূল দলের মতো দলের এ দলকেও শক্তিশালী হতে হবে। যদি আমরা দেখি শাহীন, বাবর বা রিজওয়ান কার্যকরী হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে ছুটি নেওয়ার কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না। নাসিম শাহকে এই মুহূর্তে যেভাবে দলের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়। যদি আমাদের বিন শক্তিশালী না হয় সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও অজুহাত দেওয়া চলে না।’
পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ ইতিমধ্যেই চতুর্থ দিনে পড়েছে। খেলার ফলাফল কোন অভিমুখে বেঁকে আপাতত সেটাই দেখতে আগ্রহী গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
The post ‘আমি মনে করি হ্যারিসের বিবিএলের পরিবর্তে টেস্ট দলের অংশ হওয়া উচিত ছিল’ appeared first on CricTracker Bengali.