একমাত্র দল হিসেবে টানা ৩টি বিশ্বকাপ জয়, অস্ট্রেলিয়ার এই অনন্য রেকর্ডটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিন

অক্টো. 1, 2023

No tags for this post.
Spread the love

Australia. (Photo Source: Twitter)

অস্ট্রেলিয়া এখনও পর্যন্ত পাঁচবার ওডিআই বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে। তাদের পর সবথেকে বেশিবার ওডিআই বিশ্বকাপের ট্রফি জেতার তালিকায় যৌথভাবে রয়েছে ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উভয় দেশই দুইবার ওডিআই বিশ্বকাপ জিততে সক্ষম হয়েছে। সুতরাং, এই তালিকায় বাকি দেশগুলির থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়া ১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ এবং ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ট্রফি জিততে সক্ষম হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া বাদে বিশ্বের আর কোনও দেশ টানা তিনবার ওডিআই বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে পারেনি। ওডিআই বিশ্বকাপ ২০১৫-তে ট্রফি জেতার পর ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এ অস্ট্রেলিয়া দলকে নেতৃত্ব দেবেন প্যাট কামিন্স। এই বিশ্বকাপে তাদের ফলাফল কেমন হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

১. ওডিআই বিশ্বকাপ ১৯৯৯

Australia. (Photo Source: Twitter)

১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্টিভ ওয়া। এই টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ ‘বি’-তে ছিল এবং সেই গ্রুপে তারা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। তারা গ্রুপ পর্বে স্কটল্যান্ড, বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল। অন্যদিকে, তারা নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের মুখোমুখি হয়েছিল। সুপার সিক্সে জিম্বাবুয়েকে ৪৪ রানে পরাজিত করার মাধ্যমে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল স্টিভ ওয়ার নেতৃত্বাধীন দল।

সেমিফাইনালে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচটিতে প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭১ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া ২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ২৭২ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ছিল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া খুব সহজেই পাকিস্তানকে হারিয়েছিল এবং ট্রফি জিতে নিয়েছিল। পাকিস্তান মাত্র ১৩২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। শেন ওয়ার্ন অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি ৯ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়া মাত্র ২০.১ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৩ রানে পৌঁছে ম্যাচটি নিজেদের নামে করেছিল।

২. ওডিআই বিশ্বকাপ ২০০৩

Australia. (Photo Source: Twitter)

২০০৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। অস্ট্রেলিয়া পুল ‘এ’-তে প্ৰথম স্থান অধিকার করেছিল। তারা এই পর্বে ৬টি ম্যাচ খেলেছিল এবং সবকটি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল। রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন দল ভারত, জিম্বাবুয়ে, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস এবং নামিবিয়াকে হারিয়ে সুপার সিক্স পর্বে পৌঁছেছিল। সুপার সিক্সে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯৬ রানের একটি দুর্দান্ত জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১২ রানে পৌছেছিল রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন দল। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ওভার এবং রানের লক্ষ্য কমে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কাকে জয়ের জন্য ৩৮.১ ওভারে ১৭২ রান করতে হত, কিন্তু তারা ৭ উইকেটে ১২৩ রান করতে সক্ষম হয়েছিল। এরপর, ফাইনালে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বাধীন ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৫৯ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। রিকি পন্টিং ১২১ বলে অপরাজিত ১৪০ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেছিলেন। ভারতের ইনিংস ২৩৪ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং অস্ট্রেলিয়া ১২৫ রানে ফাইনাল ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল।

৩. ওডিআই বিশ্বকাপ ২০০৭

AUS vs SL. (Photo Source: Twitter)

ওডিআই বিশ্বকাপ ২০০৭-এও রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তারা গ্রুপ ‘এ’-তে ছিল এবং এই পর্বে সবকটি ম্যাচ জিতে ‘সুপার এইট’-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। তারা দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস এবং স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিল। ‘সুপার এইটে’ রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল এবং সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই পর্বেও অস্ট্রেলিয়া সবকটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল।

সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া ১১১ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে ১৫৩ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ছিল শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচটির ওভার কমে ৩৮ হয়ে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া প্ৰথমে ব্যাটিং করেছিল এবং ৪ উইকেটে ২৮১ রান করেছিল। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ১০৪ বলে ১৪৯ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন। ফাইনাল ম্যাচটিতে বৃষ্টি আবারও বিঘ্ন ঘটিয়েছিল এবং ওভার এবং রানের লক্ষ্য কমে যথাক্রমে ৩৬ এবং ২৬৯ হয়ে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কা রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ২১৫ রান করতে সক্ষম হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৫৩ রানে ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল।

The post একমাত্র দল হিসেবে টানা ৩টি বিশ্বকাপ জয়, অস্ট্রেলিয়ার এই অনন্য রেকর্ডটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিন appeared first on CricTracker Bengali.

Subscribe to Telegram
Bangla Tigers Mississauga পার্টনারশিপের সাথে MCW থান্ডারস ইনটু দ্য ক্রিকেট সিন
MCW এবং সান ফ্রান্সিস্কো অরেঞ্জ : গোল্ড মিট অরেঞ্জ, ডিল সিল করা হয়েছে
MCW Sports Joins Gladiators’ Family as Platinum Sponsor for PSL8