Sachin Tendulkar and MS Dhoni. (Photo by Subhendu Ghosh/Hindustan Times via Getty Images)
সচিন তেন্ডুলকর বিশ্ব ক্রিকেটে এক অনবদ্য স্তম্ভের নাম। যার অসামান্য কীর্তি ক্রিকেট লোকগাঁথায় এক অস্পর্শনীয় উচ্চতা অর্জন করেছে। ২০১০ সালে তিনি নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের এক দুর্দমনীয় ফর্ম উপভোগ করেছিলেন। তার ওই বছরের পারফরম্যান্স ক্রিকেটের ইতিহাসে স্থায়ী স্বর্ণময় অধ্যায় হয়ে রয়ে গেছে।
এই ছোট্টখাট্টো চেহারার ১০নম্বর জার্সিধারী ২০১০সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে উভয় টেস্টে সেঞ্চুরি দিয়ে নিজের সফর শুরু করেন। পরের মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গোয়ালিয়ারে একদিনের আন্তর্জাতিককে ২০০ রানের সীমা তিনি লংঘন করেছিলেন। সেই সময় দাঁড়িয়ে বিশ্ব-ইতিহাসে যা প্রথম হিসাবে পরিগণিত হয়। জুলাই মাসে কলম্বোর মাটিতে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে তিনি ২০৩ রানের একটি অনবদ্য টেস্ট ইনিংস খেলে যান। পরবর্তীতে দেশের মাটিতে ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে অক্টোবর মাসে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২১৪ রান করেন। সেই সময় অপ্রতিরোধ্য পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যা ভারতকে উল্লেখযোগ্য জয় পেতে সাহায্য করে। এক বছরের মধ্যে তাঁর ৬টি সেঞ্চুরি টেস্ট সেঞ্চুরি রেকর্ড সংখ্যাকে ৪৯ এর দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সাহায্য করে। তারপরে ভারত পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেই সময়ের ব্লু জার্সির সামনে ছিল তিন ম্যাচের সিরিজ জয়ের হাতছানি। কিন্তু সেঞ্চুরিয়ানের জাহির খান চোটের কারণে বাদ পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় শিবিরে ধাক্কা লাগে ও টেস্ট জয় পিছিয়ে যায়। গ্রেম স্মিথ টস জেতায় সেদিনের মেঘলা ও ঠান্ডা আবহাওয়া ভারতের জন্য আরো প্রতিকূল হয়ে দেখা দেয়। যদিও এই ম্যাচে শচীনের ব্যাট থেকে ৩৬ রান আসে, কিন্তু সম্পূর্ণ ভারতীয় দল ১৩৬ রানে আউট হয়ে যায়। এই সময়ে শ্রীশান্থ, ঈশান শর্মা ও হরভজন সিং মিলিতভাবে পারফর্ম করলেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে রাখতে অক্ষম হয়।
এবি ডেভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরির পাশাপাশি এই ম্যাচেই জ্যাক ক্যালিসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি চলে আসে।
পরবর্তীতে ভারত ব্যাট করতে নেমে কিছুটা হলেও ধোনি ও সচিন মিলে একটি পার্টনারশিপ তৈরির চেষ্টা করে। ধোনির ইনিংস অনেকগুলি বাউন্ডারি দ্বারা সুসজ্জিত ছিল। পরাজয় নিশ্চিত জেনেও উভয়ের পার্টনারশিপে একটা ১৭২ রানের ইনিংস গড়ে ওঠে। সেই সময় প্রোটিয়াদের আর এক জোরে বোলার ডেল স্টেন নিজের ক্যারিয়ারের সর্বশ্রেষ্ঠ ফর্মে ছিলেন।
বর্তমানে রোহিতের ভারত আরেকবার দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরিয়ান টেস্টের প্রাক্কালে। তাই নজর থাকবে দ্রাবিড়ের স্ট্রাটেজিতে, কোহলির ব্যাটে। বল হাতে বুমরাহ-সিরাজ কতোটা কার্যকরী হয় তাও দেখতে আগ্রহী আপামর দেশবাসী। দেখা যাক বর্ষশেষে ব্লু-ব্রিগেডের প্রোটিয়া বিজয় সম্ভব হয় কিনা।
The post সচিন তেন্ডুলকর ২০১০ সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের এক দুর্দমনীয় ফর্মে ছিলেন appeared first on CricTracker Bengali.










