এশিয়া কাপ ২০২৩-এর ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর আগে এই জয় রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলকে অবশ্যই অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ফাইনাল ম্যাচটি জেতার ক্ষেত্রে ভারতীয় দলকে একবারও অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়নি। শুরু থেকেই ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেছিল ভারত। শেষমেশ দাসুন শানাকার নেতৃত্বাধীন দল এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটি হল ভারতের অষ্টম এশিয়া কাপ ট্রফি।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে তারা। এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার পাঁচজন ব্যাটার রানের খাতা খুলতে পারেননি এবং মাত্র দুজন ব্যাটার ১০ রানের গন্ডি পার করতে সক্ষম হয়েছে। ওপেনার কুশল পেরেরা ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার পথুম নিসাঙ্কা ৪ বলে ২ রান করে আউট হন। কুশল মেন্ডিস ৩৪ বলে ১৭ রান করেন। সাদিরা সামারাবিক্রমা এবং চরিথ আসালাঙ্কা ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন।
অধিনায়ক দাসুন শানাকাও এই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। ধনঞ্জয় দি সিলভাও ক্রিজে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। তিনি ২ বলে ৪ রান করে আউট হন। দুনিথ ওয়েল্লালাগে এবং দুশান হেমন্ত যথাক্রমে ২১ বলে ৮ রান এবং ১৫ বলে অপরাজিত ১৩ রান করেন। শেষমেশ ১৫.২ ওভারে মাত্র ৫০ রানে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
ইশান কিষান এবং শুভমন গিল মিলে সহজেই রান তাড়া করে ফেলেন
এই ম্যাচে ভারতের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। তার দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের সামনে শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটারই বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। তিনি ৭ ওভারে মাত্র ২১ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট নেন। হার্দিক পান্ডিয়া ২.২ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। জসপ্রীত বুমরাহ ১টি উইকেট নিতে সক্ষম হন।
এটি ছিল ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মার ২৫০ তম ওডিআই ম্যাচ। তিনি তার এই বিশেষ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ট্রফি জেতালেন যা অবশ্যই একটি অনেক বড় ব্যাপার। আজকের ম্যাচে তিনি শুভমন গিলের সাথে ওপেনিং করতে নামেননি। গিলের সাথে ইশান কিষান ইনিংস ওপেন করতে নামেন। এই দুই ব্যাটার মিলে খুব সহজেই রান তাড়া করে ফেলেন। ভারত ৬.১ ওভারে ৫১ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয়। গিল এবং ইশান যথাক্রমে ১৯ বলে ২৭ রান এবং ১৮ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।