ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ৩৮ তম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে কুশল মেন্ডিসের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে প্ৰথমে ব্যাটিং করতে নেমে চরিথ আসালাঙ্কার দুরন্ত শতরানের হাত ধরে স্কোরবোর্ডে ৪৯.৩ ওভারে ১০ উইকেটে ২৭৯ রান তুলল শ্রীলঙ্কা।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার ওপেনার কুশল পেরেরা ৫ বলে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর পথুম নিসাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস মিলে ৬১ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ করেন। নিসাঙ্কা ৩৬ বলে ৪১ রান করে নিজের উইকেট হারান। মেন্ডিস খুব বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ৩০ বলে ১৯ রান করে আউট হন। সাদিরা সামারাবিক্রমা ৪টি চার সহ ৪২ বলে ৪১ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস টাইমড আউট হন। ধনঞ্জয় দি সিলভা ৩৬ বলে ৩৪ রান করতে সক্ষম হন। মহেশ থিকসানা ৩১ বলে ২২ রান করেন। এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন চরিথ আসালাঙ্কা। তিনি ১০৫ বলে ১০৮ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৬টি চার এবং ৫টি ছয় মারেন। তার এবং ধনঞ্জয়ের মধ্যে ৭৮ রানের একটি দারুণ পার্টনারশিপ হয়। দুষ্মন্ত চামিরা ৯ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। কাসুন রাজিথা এই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। দিলশান মাদুশঙ্কা ১ বলে ০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
তানজিম হাসান সাকিব ৩টি উইকেট নেন
এই ম্যাচে বাংলাদেশের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। তবে তিনি অনেক রান দেন। তিনি ১০ ওভারে ৮০ রান দেন এবং এর বিনিময়ে ৩টি উইকেট শিকার করতে সক্ষম হন। তিনি পথুম নিসাঙ্কা, চরিথ আসালাঙ্কা এবং কাসুন রাজিথাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
সাকিব আল হাসান এবং শরিফুল ইসলাম যথাক্রমে ১০ ওভারে ৫৭ রান এবং ৯.৩ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন। সাকিব কুশল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামারাবিক্রমাকে আউট করেন। শরিফুল কুশল পেরেরা এবং মহেশ থিকসানার উইকেট নিতে সক্ষম হন। মেহেদী হাসান মিরাজ ১০ ওভারে ৪৯ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন। তিনি ধনঞ্জয় দি সিলভাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। শেষমেশ এই ম্যাচে কোন দল জয় পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।