তৃতীয় একদিনের ম্যাচটি ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ম্যাচটিতে যে দল জয় পেত সে দল সিরিজ জিতত। কিন্তু রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটি শেষমেশ টাই হল।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তাদের দলের দুই ওপেনার শামীমা সুলতানা এবং ফারগানা হক মিলে শুরুটা অসাধারণভাবে করেন। তাদের দুজনের মধ্যে ৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। শামীমা ৫টি চার সহ ৭৮ বলে ৫২ রান করেন। ফারগানা একটি দুরন্ত শতরান করেন। তিনি ১৬০ বলে ১০৭ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার। নিগার সুলতানা ৩৬ বলে ২৪ রান করে আউট হন। রিতু মণি ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। শোভনা মোস্তারি ২২ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৫ রান করে বাংলাদেশ।
স্নেহ রানা ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। দেবিকা বৈদ্য ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। এই ম্যাচে ভারতীয় দলের আর কোনো বোলার উইকেট নিতে পারেননি।
হারলিন দেওলের অসাধারণ পারফরম্যান্স শেষমেশ কাজে এল না
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই শেফালি ভার্মার উইকেট হারায় ভারত। তিনি ৩ বলে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ৮৫ বলে ৫৯ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার। ইয়াস্তিকা ভাটিয়া বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ৭ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হন।
হারলিন দেওল ১০৮ বলে ৭৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৯টি চার মারেন। দুর্ভাগ্যবশত, তিনি রান আউট হন। অধিনায়ক হারমানপ্রিত কউর খুব বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ২১ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। একসময় মনে হচ্ছিল যে ভারত এই ম্যাচটি সহজেই জিতে যাবে। কিন্তু শেষ ৯ রানে ৪টি উইকেট হারায় ভারত। ৪৯.৩ ওভারে ২২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় হারমানপ্রিত কউরের নেতৃত্বাধীন দল। জেমিমাহ রড্রিগেস ৪৫ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
নাহিদা আখতার ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। মারুফা আখতার ৯ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন। সুলতানা খাতুন, রাবেয়া খান এবং ফাহিমা খাতুন প্রত্যেকেই ১টি করে উইকেট পান।