ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি দুর্দান্ত জয় পেল নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্রের জোড়া শতরানের হাত ধরে জস বাটলারের নেতৃত্বাধীন দলকে ৯ উইকেটে হারাল টম ল্যাথামের নেতৃত্বাধীন দল।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ওপেনার ডেভিড মালান ২৪ বলে মাত্র ১৪ রান করে আউট হয়ে যান। আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ৩৫ বলে ৩৩ রান করতে সক্ষম হন। হ্যারি ব্রুক শুরুটা ভালো করেছিলেন, কিন্তু সেটিকে বড় রানে রূপান্তরিত করতে পারেননি। তিনি ১৬ বলে ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মইন আলি ১৭ বলে মাত্র ১১ রান করে আউট হন। জস বাটলার ৪২ বলে ৪৩ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। লিয়াম লিভিংস্টোনও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তিনি ২২ বলে ২০ রান করতে সক্ষম হন। যখন একদিক দিয়ে উইকেট পড়ে যাচ্ছিল, তখন আরেকদিকে ইনিংসকে সামাল দিচ্ছিলেন জো রুট। তিনি ৮৬ বলে ৭৭ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৪টি চার এবং ১টি ছয় মারেন।
স্যাম কারান এবং ক্রিস ওকসের ব্যাট থেকে বেশি রান আসেনি। আদিল রশিদ এবং মার্ক উড মিলে শেষ উইকেটে ৩০ রান যোগ করেন। শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮২ রান তোলে ইংল্যান্ড। ম্যাট হেনরি ১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। মিচেল স্যান্টনার এবং গ্লেন ফিলিপস যথাক্রমে ১০ ওভারে ৩৭ রান এবং ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন। ট্রেন্ট বোল্ট এবং রাচিন রবীন্দ্র ১টি করে উইকেট নিতে সক্ষম হন।
৮২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচটি জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ড খুব সহজেই রানের লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচটি জিতে নেয়। টম ল্যাথামের নেতৃত্বাধীন দল শুরুতেই উইল ইয়ংয়ের উইকেট হারিয়েছিল। কিন্তু তারপর ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ডের আর একটি উইকেটও ফেলতে পারেনি।
ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র মিলে ২৭৩* রানের একটি অনবদ্য পার্টনারশিপ করেন। কনওয়ে ১৯টি চার এবং ৩টি ছয় সহ ১২১ বলে ১৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে, রাচিন ১১টি চার এবং ৫টি ছয় সহ ৯৬ বলে অপরাজিত ১২৩ রান করেন। ৩৬.২ ওভারে ১ উইকেটে ২৮৩ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান রাচিন।