এশিয়া কাপ ২০২৩-এর সুপার ফোরের প্ৰথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে পরাজিত করল বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। বোলিং এবং ব্যাটিং বিভাগের অনবদ্য পারফরম্যান্সের হাত ধরে খুব সহজেই ম্যাচটি জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে একটি দুরন্ত শতরান করার পর এই ম্যাচে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি তার প্ৰথম বলেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার মহম্মদ নাইম ২৫ বলে ২০ রান করেন। অন্যদিকে, কামব্যাক করে শুরুটা খুব একটা ভালোভাবে করতে পারলেন না লিটন দাস। তিনি ১৩ বলে ১৬ রান করে আউট হন। তৌহিদ হৃদয়ও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। বাংলাদেশ মাত্র ৪৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল।
এরপর দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম মিলে পরিস্থিতি সামাল দেন। সাকিব এবং মুশফিকুর মিলে ১০০ রানের একটি অসাধারণ পার্টনারশিপ করেন। সাকিব ৫৭ বলে ৫৩ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলে আউট হন। মুশফিকুর ৮৭ বলে ৬৪ রান করেন। সাকিব এবং মুশফিকুর বাদে বাংলাদেশের আর কোনও ব্যাটার এই ম্যাচে ভালো রান করতে পারেননি। তারা আউট হওয়ার পর আবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। শেষে শামিম হোসেন এবং আফিফ হোসেন যথাক্রমে ২৩ বলে ১৬ রান এবং ১১ বলে ১২ রান করেন। ৩৮.৪ ওভারে মাত্র ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে পাকিস্তানের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন হারিস রউফ। তিনি ৬ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। নাসিম শাহ ৫.৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। শাহীন আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ এবং ইফতিখার আহমেদ ১টি করে উইকেট নিতে সক্ষম হন।
৬৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচটি জিতে নেয় পাকিস্তান
ওপেনার ফখর জামান ৩১ বলে ২০ রান করে আউট হন। আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হক ৮৪ বলে ৭৮ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার এবং ৪টি ছয়। অধিনায়ক বাবর আজম এই ম্যাচে বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ২২ বলে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মহম্মদ রিজওয়ান ৭৯ বলে অপরাজিত ৬৩ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন।
পাকিস্তান ৩৯.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৪ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয়। তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ প্রত্যেকেই ১টি করে উইকেট নেন।