গতকালই আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ ৩-০ করেছে পাকিস্তান। আর সেই সিরিজ জয়ের সঙ্গেই কার্যত এশিয়া কাপের আগে ক্রম তালিকায় বড়সড় উন্নতি করেছে পাকিস্তান। আইসিসির ওডিআই তালিকায় শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে পাকিস্তান শিবির। আর তাতেই আপ্লুত হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। এশিয়া কাপের আগে পাকিস্তানের শীর্ষে পৌঁছনোটা যে তাদের কাছে একটা বড় প্রাপ্তি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনটা হওয়ার পরই পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা সোশ্যাল মিডিয়া বাবর আজমদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
শনিবার সিরিজের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নেমেছিল পাকিস্তান। সিরিজ জয় আগেই হয়ে গুয়েছিল তাদের। তবুও এই ম্যাচ জয়ের জন্য মরিয়া ছিল পাকস্তান। কারণ একটাই। এই ম্যাচ জিততে পারলেই আইসিসির ক্রম তালিকায় শীর্ষস্থানে পৌঁছনোর সুযোগ ছিল তাদের। সেটাই করে দেখিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। দলের প্রতিটি ক্রিকেটারদের পারফর্মযাম্সেই আপ্লুত হয়েছেন বাবর আজম। শীর্ষস্থানে পৌঁছনোর সেই কৃতিত্বও সেই কারণে দলের প্রতিটি সতীর্থদেরই দিচ্ছেন পাকিস্তানের তারকা অধিনায়ক বাবর আজম।
আফগানিস্তানকে হারিয়ে ওডিআই পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে পৌঁছেছে পাকিস্তান
শেষম্যাচে আফগানিস্তনের বিরুদ্ধে ৫৯ রানে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। সেখানেেই ব্যাট হাতে ফের একবার রানের ঝলক দেখা গিয়েছে বাবর আজমের ব্যাট থেকে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বাবর আজমের ব্যাট থেকে এসেছে ৬০ রান এবং মহম্মদ রিজওয়ান করেছিলেন ৬৭ রান। তাদের সেই পারফরম্যান্সই যে পাকিস্তানের জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়েছিল তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৩-০-এ সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। এরপরই আইসিসির ওডিআই ক্রম তালিকায় শীর্ষস্থানে নিজেদের জায়গায়া পাকা করে ফেলেছে পাক বাহিনী। সেটাই এযে এখন পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসও বাড়াচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এবারের সিরিজে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার ইমাম উল হক। যদিও এই ম্যাচে বড় রান করতে পারেননি তারা। পাকিস্তানও অবশ্য এই ম্যাচে ৩০০ রানের গন্ডী টপকাতে পারেননি। কিন্তু তাদের বোলাররা ছিলেন অসাধাণ ফর্ম্যে। আফগান ক্রিকেটারদের ২০৯ রানেই শেষ করে দিয়েছিল পাকিস্তান। আর সেইসঙ্গে জয়ের চওড়া হাসিও ফুটেছিল পাক ক্রিকেটারদের মুখে।
নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ জয়ের পরই পাকিস্তানের সামনে শীর্ষে পৌঁছনোর সুযোগটা এসে গিয়েছিল। সেখানেই শেষপর্যন্ত আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেই জায়গা পাকা করে ফেলল বাবর আজমের পাক বাহিনী।