দিল্লিতেই অঘটন। ধারেভারে এগিয়ে থেকে নামলেও আফগানিস্তানের কাছে অপ্রত্যাশিত হার ইংল্যান্ডের। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে জয়ের রাস্তায় ফিরলেও, আফগান আক্রমণের সামনেই থেমে গেল ব্রিটিশ দৌড়। আফগানিস্তানের গায়ে বরাবরই জায়ান্ট কিলারের তকমা রয়েছে। সেটাই এবারের বিশ্বকাপেও প্রমাণ করে দিল তারা। বিশ্বকাপের মঞ্চে এক নতুন ইতিহাস তৈরি করল আঈফগানিস্তান। গতবারের চ্যাম্পিয়.ন ইংল্যান্ডকে ৬৯ রানে হারিয়ে ওডিআই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়ল আফগানিস্তান। টানা ১৫ ম্যাচ হারের পর বিশ্বকাপের মঞ্চে জয় পেল আফগানিস্তান। তাও আবার ইংল্যান্ডকে হারিয়েই বিশ্বকাপে প্রথম জয়।
ধারেভারে ইংল্যান্ডের থেকে বহু যোজন পিছিয়ে থেকেই নেমেছিল আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের প্রথম দুটো ম্যাচেই হেরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেমেছিল তারা। কিন্তু সেখানেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক অসাধারণ টিম গেম প্রদর্শন করল আফগানিস্তান। ব্যাট হাতে রহমনুল্লাহ গুরবাজ কাজটা শুরু করে দিয়েছিলেন। বাকি কাজটা নিখুঁতভাবে করে দিলেমন রশিদ খান ও মুজিব উর রহমন। দুই বোলারের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারলন না ইংল্যান্ডের তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হয়েছেন মুজিব উর রহমান
টস জিতে এদিন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। সেখানে শুর থেকেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলছিলেন রহমনুল্লাহ গুরবাজ। তিনি এবং ইব্রাহিম জাদরান বিনা উইকেটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১১৪ রানের পার্টনারশিপ তৈরি করে ফেলেছিল। ইব্রাহিনম জাদরান ফিরে যাওয়ার পরই আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে ৮০ রানের মাথায় রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন রহমনুল্লাহ গুরবাজ। সেই সময়ই তাঁর আফসোস ছিল চোখে পড়ার মতো।
গুরবাজ ফেরার পর থেকেই ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। সেই পরিকল্পনায় যে তারা একেবারেই সফল হতে পারেনি এমনটা বলাও যায় না। সেখানেই সেষ মুহূর্তে ইক্রাম আলিখিলের ৫৮ রানের ইনিংসের সৌজন্যে আফগানিস্তান পৌঁছে গিয়েছিল ২৮৪ রানে। দিল্লির মাঠে এবার বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বোলাররা এবার তেমন সুবিধা পায়নি। কিন্তু আফগানিস্তানের ক্ষেত্রেই পুরো ঘটনাটা যেমন উল্টে গিয়েছে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ছেকেই আফগান বেলারা ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। ইংল্যান্ডের সেরা দুই ব্যাটার জো রুট এবং হ্যারি ব্রুককে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মুজিব উর রহমান। এই দুজনের পার্টনারশিপটাই ইংল্যান্ডের এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানেই ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়েছিলেন মুজিব উর রহমান। তিনি এদিন একাই তুলে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। সেইসঙ্গে সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন রশিদ খান। তিনিও তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আফগান বোলারদের বিরুদ্ধে কোনওরকম লড়াই করতেই পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা।