মাথিসা পাথিরানার দুর্ধর্ষ বোলিং স্পেলে জয়ের রাস্তাটা তৈরি হয়েই গিয়েছিল। সেই রাস্তায় হেঁটেই সাদিরা সমরপবিক্রমা এবং চরিথ আসালঙ্কার হাত ধরে জয় নিশ্চিত করে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে জয় দিয়েই যাত্রা সুরু করল শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫ উইতেটে ম্যাচ জিতে নিল গতবারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা। এই শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেই গতবার এসিয়া কাপের মঞ্চ থেকে ছিটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও চিত্রটা বদলালো না। সাকিব অল হাসানের নেতৃত্বেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বদলা নিতে ব্যর্থই হল বাংলাদেশ।
এবারের আইপিএলে মহেন্দ্র সিং ধোনির অন্যতম প্রধান আবিস্কার ছিলসেন মথিসা পাথিরানা। বেশ কিচু ম্যাচে তাঁকে দিয়েই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। সেই মাথিসা পাথিরানা দিকে এবারের এশিয়া কাপেও সকলের নজর ছিল। প্রথম ম্য়াচেই সকলের নজর কেড়ে নিলেন এই তরুণ তারকা। কার্যতক বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়ে তিনিই এদিন শ্রীলঙ্কার জয়ের রাস্তাটা যে প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার জয়ের নায়ক চিলেন মাথিসা পাথিরানা।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩২ রানে একাই চার উইকেট তুলে নিয়েছেন মাথিসা পাথিরানা
টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা অধিনায়ক সাকিব অল হাসান। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বড় রানের লক্ষ্য্ই ছিল বাংলাদেশের অধিনায়কের। কিন্তু পাল্লেকল স্টেডিয়ামে এদিন শুরু থেকেই হল হাতে ঝড় তুলেছিলেন মাথিসা পাথিরানা। আর সেই ধাক্কাতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। টপ অর্ডার থেকে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের তারকা ব্যাটারদের সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটারই। সাকিব অল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এই দুই তারকা ক্রিকেটারকেই সাজঘরের রাস্তায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মথিসা পাথিরানা।
তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট। এজিন নাজমুল হাসান শান্ত বাংলাদেশের হয়েবড় রান না করলে তারা হয়ত ১৫০ রানের গন্ডীও টপকাতে পারত না। শেষপর্যন্ত ১৬৪ রানেই থামতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেইসঙ্গেই শ্রীলঙ্কার জয়য়ের হাস্তাটাও অনেক সোজা হয়ে গিয়েছিল। যদিও বাংলাদেশের বোলাররা অবশ্য শেষপর্য।ন্ত লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এত কম রান নিয়ে যে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জেতাটাসহজ ছিল না তা বলাই বাহুল্য।
যদিও ৪৩ রানের মধ্যেই শ্রীলঙ্কাও ৩ উইকেট খুইয়েচাপে পড়ে গিয়েছিল। সেখানে থেকেই সাদিরা সমরবিক্রমা এবং চরিথ আসালঙ্কার ৭৮ রানের পার্টনারশিপটাই শ্রীলঙ্কার জয়টাপাকা করে দিয়েছিল। ব্যাট হাতে দুই তারকা ক্রিকেটারই এদিন অরপ্ধশতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। সমরবিক্রমনা করেন ৫৪ রান। এবং শেষপর্যন্ত ৫৪ রানে অরপরাজিত ছিলেন চরিথ আসালঙ্কা।