This content has been archived. It may no longer be relevant
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৩-এর কোয়ালিফায়ার ২-এ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে (এমআই) ৬২ রানে পরাজিত করে ফাইনালে পৌঁছে গেল গুজরাট টাইটান্স (জিটি)। এই নিয়ে টানা দুই বছর ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল জিটি।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ঋদ্ধিমান সাহা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। তিনি ১৬ বলে ১৮ রান করেন। শুভমন গিল শুরু থেকেই আক্রমনাত্মকভাবে ব্যাটিং করছিলেন। তিনি এই ম্যাচে ৬০ বলে ১২৯ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তার এই অসাধারণ ইনিংসে ছিল ৭টি চার এবং ১০টি ছয়। আইপিএলের ১৬ তম সংস্করণে এটি ছিল তার তৃতীয় শতরান। সাই সুদর্শন ৫টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৩১ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তিনি রিটায়ার্ড আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
শেষে হার্দিক পান্ডিয়া ১৩ বলে ২৮ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসে ছিল ২টি চার এবং ২টি ছয়। রশিদ খান ২ বলে অপরাজিত ৫ রান করেন। শেষমেশ ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩৩ রান করে গুজরাট টাইটান্স। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মাত্র ২ জন বোলার এই ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন। আকাশ মাধওয়াল ৪ ওভারে ৫২ রান এবং পীযুষ চাওলা ৩ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ১টি করে উইকেট নেন।
বল হাতে দুর্দান্ত প্রদর্শন করেন মোহিত শর্মা
ইশান কিষান প্ৰথম ইনিংসে চোট পেয়েছিলেন। সেই কারণে তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনিং করতে নামতে পারেননি। এটি এমআইয়ের জন্য একটি অনেক বড় ধাক্কা ছিল। ইশান কিষানের পরিবর্তে অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথে ওপেনিং করতে নেমেছিলেন নেহাল ওয়াধেরা। তবে তিনি প্ৰথম ওভারেই ৩ বলে ৪ রান করে আউট হন। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন রোহিত শর্মা। তিনি ৭ বলে মাত্র ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর ক্রিজে আসেন তিলক ভার্মা। তিনি ১৪ বলে ৪৩ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৫টি চার এবং ৩টি ছয় মারেন। ওয়ান ডাউনে নেমে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর আবার ব্যাট করতে নামেন ক্যামেরন গ্রিন। তিনি ২টি চার এবং ২টি ছয় সহ ২০ বলে ৩০ রান করেন।
সূর্যকুমার যাদব একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি মাত্র ৩৮ বল খেলে ৬১ রান করেন। তিনি এই ইনিংসে ৭টি চার এবং ২টি ছয় মারেন। তার উইকেটটি নিয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে জিটি। টিম ডেভিড এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। এই ম্যাচে জিটির সবথেকে সফল বোলার ছিলেন মোহিত শর্মা। তিনি ২.২ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন। রশিদ খান এবং মহম্মদ শামি ২টি করে উইকেট নেন। জশুয়া লিটিল ১টি উইকেট পান। ১৮.২ ওভারে ১৭১ রানে শেষ হয়ে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান শুভমন গিল।