এশিয়ান গেমসের মঞ্চে পদক নিশ্চিত ভারতীয় ক্রিকেট দলের। সেমিপাইনালে বাংলাদেশকে হারানোর পরই রূপোর পদক নিশ্চিত করে পেলেছেন রুতুরাজজ গায়কোয়াড়রা। এখন শুধুই সোনা জয়ের লক্ষ্যে টিম ইন্ডিয়া। ফাইনালে জিততে পারলেই এশিয়ান গেমসের মঞ্চে ইতিহাস তৈরি করেবে ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেট দল। সেমিফাইনালের ম্যাচে বাংলাদৈশের বিরুদ্ধে নেমেছে ভারতীয় দল। সেখানেই ৯ উইকেটে বাংলাদেশকে উড়িয়ে এবারের এসিয়ান গেমসে পদক নিশ্চিত করে ফেলল ভারতীয় দল। সোনা জয়ের থেকে আর মাত্র এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
এবারের এশিয়ান গেমসে শুরু থেকেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ভারতীয় দলষ। প্রথম ম্যাচে ভারতীয় দলের দলের বিধ্বংসী ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল ভারতীয় দল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বোলিংয়েও দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখাল টিম ইন্ডিয়া। সাই কিশোর ও ওয়াশিংটন সুন্দরের দাপুটে বোলিংয়ের সামনেই কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের মঞ্চে বাংলাদেশকে কার্যত ১০০ রানের গন্ডীই টপকাতে দেয়নি টিম ইন্ডিয়া। জয়ের রাস্তাটা ভারতীয় গদলের বোলাররাই প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন। সেখানেই রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও তিলক বর্মার হাত ধরে জয় নিস্চিত করে ফেলে ভারতীয় দল।
বাংলাদেশকে মাত্র ৯৬ রানেই থামিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় দল
টস জিতে এদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। শুরু থেকেই বাংলাদশের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন দেখিয়েছিলেন ভারতীয় দলের বোলাররা। সেখানে সাই কিশোর ও ওয়াশিংটন সুন্দরই কার্যত বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের টুপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারকে শেষ করে দিয়েছিল এই দুই তারকা বোলারই। এদিন সাই কিশোর একাই তুলে নিয়েছিলেন তিনটি উইকেট। ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার দুটো উইকেট। আর তাতই কার্যত ভারতের জয়ের রাস্তাটাও পাকা হয়ে গিয়েছিল।
মাত্র ৯৬ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ শিবির। ১০০ রানের গন্ডীও টপকাতে পারেনি তারা। ভারতের জয়ের রাস্তাটা বোলাররাই প্রসস্ত করে দিয়েছিল। ব্যাটারদের সামনে তখন ছিল সহজ লক্ষ্য। যদিও এই ম্যাচে বড় রান করতে পারেননি ভারতীয় দলের তারকা ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। প্রথম ম্যাচে পারলেও এই ম্যাচে শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে।
তবে ভারতের জয় পেতে খুব একটা বেশী অসুবিধা হয়নি। সেখানেই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও তিলক বর্মা। এদিন ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিলক বর্মা। সেইসঙ্গে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ও ছিলেন বিদ্বংসী ফর্মে। দুই ব্যাটারের ব্যাটেই ছিসল চার ও ছয়ের বন্যা। রুতুরাজ গায়কোয়াড় করেছেন ২৬ বলে ৪০ রান। তাঁর ইনিংসটি সাজানো রয়েছে ৪টি টার ও ৩টি ছয় দিয়ে।