এশিয়া কাপ ২০২৩-এর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ২ রানে পরাজিত করল শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচটি জিতে নেওয়ার মাধ্যমে সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল দাসুন শানাকার নেতৃত্বাধীন দল। অন্যদিকে, চলতি এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিল আফগানিস্তান।
টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পথুম নিসাঙ্কা এবং দিমুথ করুনারত্নে মিলে শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছিলেন। তাদের দুজনের মধ্যে ৬৩ রানের পার্টনারশিপ হয়েছিল। নিসাঙ্কা এবং করুনারত্নে যথাক্রমে ৪০ বলে ৪১ রান এবং ৩৫ বলে ৩২ রান করেন। এরপর কুশল মেন্ডিস ৮৪ বলে ৯২ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ৩টি ছয়। সাদিরা সামারাবিক্রমা ব্যাট হাতে ব্যৰ্থ হন। চরিথ আসালাঙ্কা ৪৩ বলে ৩৬ রান করতে সক্ষম হন। ধনঞ্জয়া দি সিলভা এবং অধিনায়ক দাসুন শানাকা খুব বেশি রান করতে পারেননি। সিলভা ১৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন। অন্যদিকে, শানাকা ৮ বলে ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
শেষে দুনিথ ওয়েল্লাগে এবং মহেশ থিকসানার মধ্যে ৬৪ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। ওয়েল্লাগে এবং থিকসনা যথাক্রমে ৩৯ বলে অপরাজিত ৩৩ রান এবং ২৪ বলে ২৮ রান করেন। শেষমেশ ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯১ রান করে শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে আফগানিস্তানের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন গুলাবদিন নাইব। তিনি ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। রশিদ খান ১০ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। মুজিব উর রহমান ১টি উইকেট পান।
অনেক চেষ্টা করেও শেষমেশ ম্যাচ জিততে পারল না আফগানিস্তান
আফগানিস্তান রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালোভাবে করতে পারেনি। দুই ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান দুজনেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। গুলাবদিন নাইব ১৬ বলে ২২ রান করেন। এরপর রহমত শাহ এবং হাশমতুল্লাহ শাহিদি মিলে ৭১ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। মহম্মদ নবী ক্রিজে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। তিনি ৩২ বলে ৬৫ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৬টি চার এবং ৫টি ছয় মারেন।
করিম জানাত এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান যথাক্রমে ১৩ বলে ২২ রান এবং ১৫ বলে ২৩ রানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। রশিদ খান শেষে অনেক চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু দলকে ম্যাচ জেতাতে পারেননি। তিনি ১৬ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৭.৪ ওভারে ২৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সবথেকে সফল বোলার ছিলেন কাসুন রাজিথা। তিনি ১০ ওভারে ৭৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। দুনিথ ওয়াল্লেগে ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ধনঞ্জয় দি সিলভাও ২টি উইকেট নিতে সক্ষম হন। মহেশ থিকসানা এবং মাথিশা পাথিরানা ১টি করে উইকেট পান।
এই ম্যাচ নিয়ে টুইটারে অনেকে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন –
https://twitter.com/ACBofficials/status/1699094136039817567?t=bOPMs-DCkDFSOVYXlKoiRQ&s=19