ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ১৭ তম ম্যাচে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারত এবং নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এই ম্যাচে প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান তুলতে সক্ষম হল বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে সাকিব আল হাসান খেলছেন না। তার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশ শুরুটা অসাধারণভাবে করেছিল। দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান মিলে ৯৩ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ করেন। তানজিদ ৪৩ বলে ৫১ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসে ছিল ৫টি চার এবং ৩টি ছয়। লিটন দাস ৭টি চার সহ ৮২ বলে ৬৬ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। তিনি ১৭ বলে মাত্র ৮ রান করেন। মেহেদী হাসান মিরাজও বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ১৩ বলে মাত্র ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকেও বেশি রান আসেনি। তিনি ৩৫ বলে মাত্র ১৬ রান করে আউট হন। মুশফিকুর রহিম ১টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৪৬ বলে ৩৮ রান করেন। নাসুম আহমেদ ১৮ বলে ১৪ রান করে নিজের উইকেট হারান। মাহমুদউল্লাহ ৩৬ বলে ৪৬ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৩টি চার এবং ৩টি ছয় মারেন। মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম যথাক্রমে ৭ বলে ১ রান এবং ৩ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বেশ ভালো বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করে ভারত
জসপ্রীত বুমরাহ, রবীন্দ্র জাদেজা এবং মহম্মদ সিরাজ যথাক্রমে ১০ ওভারে ৪১ রান, ১০ ওভারে ৩৮ রান এবং ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। শার্দুল ঠাকুর এবং কুলদীপ যাদব যথাক্রমে ৯ ওভারে ৫৯ রান এবং ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
জসপ্রীত বুমরাহ মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। রবীন্দ্র জাদেজা লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্তকে আউট করেন। মহম্মদ সিরাজ মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাসুম আহমেদের উইকেট নেন। শার্দুল ঠাকুর তৌহিদ হৃদয়কে আউট করেন। কুলদীপ যাদব তানজিদ হাসানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। এই ম্যাচে শেষমেশ কোন দল জয় পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।