বল হাতে মহম্মদ সিরাজ ও মহম্মদ সামি রাস্তাটা প্রস্তুত করে দিয়ে এসেছিলেন। যদিও অস্ট্রেলিয়ার বোলাররাও পাল্টা লড়াইটা চালিয়েছিলেন। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই রানের সরণীতে ফিরলেন কেএল রাহুল। আর তাতেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সাফল্য পেল ভারতীয় দল। লোকেশ রাহুলের দুর্ধর্ষ অর্ধশতরানে ভর করে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে যাত্রা শুরু করল ভারতীয় দল। ৬১ বল বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ভারত।
ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছিলেন লোকেশ রাহুল। কয়েকদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও এই পারফরম্যান্সের কারণেই বসানো হয়েছিল লোকেশ রাহুলকে। এমনকী এই একদিনের সিরিজেও তাঁকে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে নানান জল্পনা চলছিল। যদিও শেষর্যন্ত লোকেশ রাহুলের ওপর ভরসা রাখা হয়েছিল। তবে ওপেনিংয়ে নয়, মিডল অর্ডারেই তাঁকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই মঞ্চেই অবশেষে সমস্ত সমালোচনার জবাব দিলেন এই তারকা ক্রিকেটার। বেশ কয়েকদিন পর ফের অর্ধশতরান পেলেন লোকেশ রাহুল। লোকেশ রাহুলের ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করেই ম্যাচ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া।
২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৪৫ রান করে ম্যাচের সেরা হয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ধাক্কায় একসময় পরপর উইকেট খুইয়ে খাদের কিনারে চলে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়ানমোরক রাস্তাটাও ক্রমশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল তাদের সামনে। সেই পরিস্থিতি থেকেই একা হাতের লড়াইটা শুরু করেছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। আর তাতেই শেষপর্যন্ত জয়ের হাসি ফোটে হার্দিক পান্ডিয়ার মুখে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত।
টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় েদলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিল অস্ট্রেলিয়াকে কম রানের মধ্যে বেঁধে ফেলা। আর মহম্মদ সামি এবং মহম্মদ সিরাজের হাত ধরে শুরুটা একেবারেই নিখুঁতভাবে করেছিল ভারতীয় দল। শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন মহম্মদ সামি। সেইসঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজও। দুই পেসারের ঝুলিতেই এদিন তিনটি করে উইকেট এসেছে। মার্কাস স্টয়নিস, ক্যামেরণ গ্রীম এবং জশ ইঙ্গলিসের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মহম্মদ সামি।
অন্যদিকে ট্রেভিস হেড, সিন অ্যাবট এবং অ্যাডাম জাম্পার উইকেট তুলে নেন মহম্মদ সিরাজ। এই দুই পেসারের দাপটে ১৮৮ রানেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সহজ লক্ষ্য থাকলেও, ভারতীয় ব্যাটাররা কিন্তু শুরুটা খুব একটা ভালভাবে করতে পারেননি। বরং প্লেঅএফের মধ্যেই মিচেল স্টার্কের ধাক্কায় বেসামাল হয়ে প়েছিল ভারতীয় দল। ঈশান কিষাণকে ৩ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মার্কাস স্টয়নিস। এরপর বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব এবং শুভমন গিলদের পরপর প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে দিয়ে ভারতীয় দলের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছিলেন স্টার্ক।
সেই পরিস্থিতি থেকেই ব্যাট হাতে লড়াইটা শুরু লোকেশ রাহুলের। একা হাতেই কার্যত দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। হার্দিক পান্ডিয়া চেষ্টা করলেও বেেশীক্ষণ থাকতে পারেননি। সেই জায়গা থেকেই রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে জুটি বাঁধেন লোকেশ রাহুল। আর তাতেই শেষপর্যন্ত সাফল্য। ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন লোকেশ রাহুল। সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত ৪৫ রানে।৬১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।