ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর মঞ্চে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচটিতে জয় পাওয়ায় তাদের সেমিফাইনালে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই টুর্নামেন্টে এটি ছিল তাদের পঞ্চম জয়।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্ৰথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কা শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। পথুম নিসাঙ্কা ৮ বলে মাত্র ২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার কুশল পেরেরা ২৮ বলে ৫১ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার এবং ২টি ছয়। অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তিনি ৭ বলে মাত্র ৬ রান করে আউট হন। সাদিরা সামারাবিক্রমা এবং চরিথ আসালাঙ্কাও বেশি রান পাননি। সামারাবিক্রমা ২ বলে ১ রান করে নিজের উইকেট হারান। অন্যদিকে, আসালাঙ্কা ৮ বলে ৮ রান করেন।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ২৭ বলে ১৬ রান করতে সক্ষম হন। ধনঞ্জয় দি সিলভার ব্যাট থেকে ১৯ রান আসে। মহেশ থিকসানা ৯১ বলে ৩৮ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। দিলশান মাদুশঙ্কা ৪৮ বলে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তিনি এবং থিকসানা মিলে ৪৩ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ করেন। শেষমেশ ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ট্রেন্ট বোল্ট ৩টি উইকেট শিকার করেন। মিচেল স্যান্টনার, লকি ফার্গুসন এবং রাচিন রবীন্দ্র ২টি করে উইকেট নেন।
২৬.৪ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচটি জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করে নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র মিলে ৮৬ রানের একটি দারুণ পার্টনারশিপ করেন। কনওয়ে ৪২ বলে ৪৫ রান করতে সক্ষম হন। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার। রাচিন ৩টি চার এবং ৩টি ছয় সহ ৩৪ বলে ৪২ রান করেন। কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে বেশি রান আসেনি। তিনি ১৫ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ড্যারিল মিচেল ৫টি চার এবং ২টি ছয় সহ ৩১ বলে ৪৩ রান করেন।
গ্লেন ফিলিপস ১০ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ২৩.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭২ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ২টি উইকেট নেন। মহেশ থিকসানা এবং দুষ্মন্ত চামিরা ১টি করে উইকেট শিকার করেন। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান ট্রেন্ট বোল্ট।