শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের প্ৰথম ইনিংসে চালকের আসনে রয়েছে পাকিস্তান। আবদুল্লাহ শফিকের দুরন্ত দ্বিশতরানের হাত ধরে ইতিমধ্যেই পাহাড় সমান রানে পৌঁছে গেছে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল। শীঘ্রই পাকিস্তানের বাকি উইকেটগুলি ফেলতে না পারলে এই ম্যাচে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে শ্রীলঙ্কা।
প্ৰথম থেকেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ব্যাটিং করছিলেন আবদুল্লাহ শফিক। টেস্ট ক্রিকেটে এটি ছিল তার প্ৰথম দ্বিশতরান। তিনি ১৯টি চার এবং ৪টি ছয় সহ এই মাইলফলকটি স্পর্শ করেন। শেষমেশ ৩২৬ বলে ২০১ রান করে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
শ্রীলঙ্কা প্ৰথম ইনিংসে খুব বেশি রান করতে পারেনি। তারা ৪৮.৪ ওভারে মাত্র ১৬৬ রান করে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। এই ইনিংসে তাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন ধনঞ্জয় দি সিলভা। তিনি ৬৮ বলে ৫৭ রান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি এই ইনিংসে ৯টি চার এবং ১টি ছয় মেরেছিলেন। প্ৰথম ইনিংসে তিনি বাদে শ্রীলঙ্কার আর কোনও ব্যাটার ৪০ রানের গন্ডি পার করতে পারেননি। আবরার আহমেদ এবং নাসিম শাহ দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেছিলেন। আবরার এবং নাসিম যথাক্রমে ২০.৪ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে ৪টি উইকেট এবং ১৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। শাহীন আফ্রিদি ১১ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ১টি উইকেট শিকার করেছিলেন।
শ্রীলঙ্কাকে ইতিমধ্যেই ৩০০ রানের বেশি লিড দিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান
ওপেনার ইমাম-উল-হক এই ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ৬ বলে ৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। শান মাসুদ ৪টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৪৭ বলে ৫১ রান করে আউট হন। তার এবং শফিকের মধ্যে ১০৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। বাবর আজম ৭৫ বলে ৩৯ রান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ১টি ছয়। সাউদ শাকিলও ভালো রান পেয়েছিলেন। তিনি ৬টি চার সহ ১১০ বলে ৫৭ রান করেছিলেন। তিনি এবং শফিক মিলে ১০৯ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ করেছিলেন।
আগা সালমান নিজের শতরান সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন। এই মুহূর্তে তার সাথে ক্রিজে রয়েছেন মহম্মদ রিজওয়ান। তিনি সরফরাজ আহমেদের পরিবর্তে কনকাসন সাব হিসেবে এই ম্যাচের বাকি অংশের জন্য দলে যোগ দিয়েছেন। শেষমেশ পাকিস্তান প্ৰথম ইনিংসে কত রান করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।