এশিয়া কাপ ২০২৩-এর সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ২১ রানে পরাজিত করল শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে পরপর দুটি ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলের ফাইনালে যাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেল। অন্যদিকে, ওডিআই ক্রিকেটে এই নিয়ে টানা ১৩টি ম্যাচ জিতল শ্রীলঙ্কা।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ১৭ বলে ১৮ রান করে আউট হন। আরেক ওপেনার পথুম নিসাঙ্কা শুরুটা ভালো করেছিলেন, কিন্তু তিনি সেটিকে বড় রানে রূপান্তর করতে পারেননি। তিনি ৬০ বলে ৪০ রান করেন। কুশল মেন্ডিস ৭৩ বলে ৫০ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ১টি ছয়। এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। তিনি ৭২ বলে ৯৩ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৮টি চার এবং ২টি ছয় মারেন।
চরিথ আসালাঙ্কা এবং ধনঞ্জয় দি সিলভা বেশি রান করতে পারেননি। অধিনায়ক দাসুন শানাকা ৩২ বলে ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। শ্রীলঙ্কা শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তুলতে সক্ষম হয়। তাসকিন আহমেদ এবং হাসান মাহমুদ যথাক্রমে ১০ ওভারে ৬২ রান এবং ৯ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট নেন। শরিফুল ইসলাম ৮ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন। দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান এবং নাসুম আহমেদ কোনো উইকেট নিতে পারেননি তবে তারা খুবই কম রান খরচ করেন। সাকিব ১০ ওভারে ৪৪ রান দেন। অন্যদিকে, নাসুম ১০ ওভারে মাত্র ৩১ রান খরচ করেন।
সুন্দর বোলিং পারফরম্যান্সের হাত ধরে জয় পেল শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশের দুই ওপেনার মহম্মদ নাইম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে ৫৫ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ করেন। মিরাজ ২৯ বলে ২৮ রান করে আউট হন। অন্যদিকে, নাইম ৪৬ বলে ২১ রান করেন। লিটন দাস ২৪ বলে ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন। এরপর তৌহিদ হৃদয় এবং মুশফিকুর রহিম মিলে ৭২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। রহিম ৪৮ বলে ২৯ রান করতে সক্ষম হন। তৌহিদ অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষমেশ তিনি দলকে ম্যাচ জেতাতে পারেননি। তিনি ৭টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৯৭ বলে ৮২ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন।
শামিম হোসেন বেশি রান করতে পারেননি। শেষে নাসুম আহমেদ ১৫ বলে ১৫ রান করেন। বাংলাদেশের ইনিংস ৪৮.১ ওভারে ২৩৬ রানে শেষ হয়ে যায়। এই ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেন দাসুন শানাকা। তিনি ৯ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। মহেশ থিকসানা এবং মাথিশা পাথিরানাও ৩টি করে উইকেট নেন। দুনিথ ওয়েল্লাগে ১টি উইকেট পান। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।