বাংলাদেশের মহিলা দলের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ উইকেটে পরাজিত হল ভারতের মহিলা দল। যদিও হারমানপ্রিত কউরের নেতৃত্বাধীন দল ২-১ ব্যবধানে এই সিরিজটি জিতেছে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কউর। ব্যাট করতে নেমে দুইজন ওপেনারই ব্যর্থ হন। স্মৃতি মান্ধানা ২ বলে ১ রান করেন। অন্যদিকে, শেফালি ভার্মা ১৪ বলে ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর জেমিমাহ রড্রিগেস এবং হারমানপ্রিত কউর মিলে পরিস্থিতি সামাল দেন। তাদের দুজনের মধ্যে ৪৫ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। রড্রিগেস ৪টি চার সহ ২৬ বলে ২৮ রান করে আউট হন। হারমানপ্রিত ৪১ বলে ৪০ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার এবং ১টি ছয়। হারমানপ্রিত এবং ইয়াস্তিকা ভাটিয়া মিলে স্কোরবোর্ডে ২৬ রান যোগ করেন। এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় ভারত। ৯১ রানে ৪ উইকেট থেকে ১০২ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন রাবেয়া খান। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। সুলতানা খাতুন ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। নাহিদা আখতার, ফাহিমা খাতুন এবং ঝর্ণা আখতার ১টি করে উইকেট পান।
৪২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন শামীমা সুলতানা
এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন শামীমা সুলতানা। তিনি ৩টি চার সহ ৪৬ বলে ৪২ রান করেন। তিনি বাদে বাংলাদেশের আর কোনও ব্যাটার ২০ রানের গন্ডি পার করতে পারেননি। সাথী রানী ৯ বলে ১০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। নিগার সুলতানা এবং সুলতানা খাতুন যথাক্রমে ২০ বলে ১৪ রান ৮ বলে ১২ রান করে আউট হন। দিলারা আখতার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ৭ বলে মাত্র ১ রান করেন।
৮৫ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। শেষ ২২ বলে তাদের ১৮ রান প্রয়োজন ছিল। ঋতু মণি এবং নাহিদা আখতার মিলে বাংলাদেশকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। ঋতু এবং নাহিদা যথাক্রমে ৮ বলে ৭ রান এবং ৬ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। মিন্নু মণি এবং দেবিকা বৈদ্য ২টি করে উইকেট শিকার করেন। জেমিমাহ রড্রিগেস ১টি উইকেট নেন। ১৮.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৩ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয় বাংলাদেশ।