ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচে প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৪৯.৪ ওভারে ১০ উইকেটে ২১২ রান তুলল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। টেম্বা বাভুমা ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন। তিনি ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি ককও খুব বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ১৪ বলে মাত্র ৩ রান করে নিজের উইকেট হারান। রাসি ফান ডার ডুসেনও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তিনি ৩১ বলে মাত্র ৬ রান করেন। এডেন মার্করাম ২০ বলে মাত্র ১০ রান করতে সক্ষম হন।
এরপর হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার মিলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের হাল ধরেন। তাদের দুজনের মধ্যে ৯৫ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। ক্লাসেন ৪৮ বলে ৪৭ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তিনি এই ইনিংসে ৪টি চার এবং ২টি ছয় মারেন। অন্যদিকে, ডেভিড মিলার একটি দুরন্ত শতরান করেন। তিনি ১১৬ বলে ১০১ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ৫টি ছয়। মার্কো জ্যানসেন এই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। কেশব মহারাজের ব্যাট থেকে মাত্র ৪ রান আসে। কাগিসো রাবাডা ১২ বলে ১০ রান করতে সক্ষম হন। তাবরেজ শামসি ৫ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করল অস্ট্রেলিয়া
মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্স যথাক্রমে ১০ ওভারে ৩৪ রান এবং ৯.৪ বলে ৫১ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। স্টার্ক টেম্বা বাভুমা, এডেন মার্করাম এবং মিচেল স্টার্ককে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। অন্যদিকে, কামিন্স ডেভিড মিলার, জেরাল্ড কোয়েটজি এবং কাগিসো রাবাডাকে আউট করেন।
জশ হ্যাজেলউড এবং ট্র্যাভিস হেড যথাক্রমে ৮ ওভারে ১২ রান এবং ৫ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। হ্যাজেলউড কুইন্টন ডি কক এবং রাসি ফান ডার ডুসেনকে আউট করেন। অন্যদিকে, হেড হেনরিখ ক্লাসেন এবং মার্কো জ্যানসেনকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। শেষমেশ এই ম্যাচে কোন দল জয় পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।