এশিয়া কাপ ২০২৩-এর ফাইনালে খুবই খারাপ ব্যাটিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করল দাসুন শানাকার নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা। ভারতীয় দলের বোলারদের দাপটে ১৫.২ ওভারে মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়ে গেল গতবারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা। ওডিআই ফরম্যাটের এশিয়া কাপের ইতিহাসে এটি হল সর্বনিম্ন স্কোর।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কা দলের বিরুদ্ধেই গেছে। শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার পথুম নিসাঙ্কা এবং কুশল পেরেরা যথাক্রমে ৪ বলে ২ রান এবং ২ বলে ০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। সাদিরা সামারাবিক্রমা এবং চরিথ আসালাঙ্কা রানের খাতা খুলতে পারেননি। এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন কুশল মেন্ডিস। তবে তিনি ২০ রানের গন্ডিও টপকাতে পারেননি। এই ২৮ বছর বয়সী ব্যাটার ৩টি চার সহ ৩৪ বলে ১৭ রান করে আউট হন। বড় মঞ্চে ধনঞ্জয় দি সিলভাও ব্যাট হাতে ব্যৰ্থ হয়েছেন। তিনি ২ বলে মাত্র ৪ রান করতে সক্ষম হন। অধিনায়ক দাসুন শানাকাও ব্যাট হাতে কোনো অবদান রাখতে পারেননি। তিনি ৪ বলে ০ রান করেন।
কুশল মেন্ডিস এবং দুনিথ ওয়েল্লালাগের মধ্যে ২১ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। এটিই হল এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার করা সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। ওয়েল্লালাগে ২১ বলে ৮ রান করেন। দুশান হেমন্ত ১৫ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি এবং কুশল মেন্ডিস বাদে এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার আর কোনও ব্যাটার ১০ রানের গন্ডি পার করতে পারেননি।
মহম্মদ সিরাজ দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেন
এই ম্যাচে ভারতীয় দলের স্পিনাররা কোনো উইকেট পাননি। মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরাহ এবং হার্দিক পান্ডিয়া মিলে শ্রীলঙ্কার ১০টি উইকেট শিকার করেন। মূলত সিরাজের বোলিংয়ের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়েন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। তিনি ৭ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে ৬টি উইকেট শিকার করেন। ২৯ বছর বয়সী এই পেসার পথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চরিথ আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয় দি সিলভা এবং দাসুন শানাকাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
হার্দিক পান্ডিয়া ২.২ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিতে সক্ষম হন। জসপ্রীত বুমরাহ ৫ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। এই দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স ভারতের জয় প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছে।