ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর মঞ্চে নিজেদের তৃতীয় জয় পেল পাকিস্তান। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল তারা।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তানজিদ হাসানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তিনি ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার লিটন দাস ৬৪ বলে ৪৫ রান করতে সক্ষম হন। নাজমুল হোসেন শান্ত স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। তিনি ৩ বলে ৪ রান করে আউট হন। মুশফিকুর রহিমও ভালো রান করতে ব্যর্থ হন। তিনি ৮ বলে মাত্র ৫ রান করেন। এরপর লিটন এবং মাহমুদউল্লাহ মিলে ৭৯ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। মাহমুদউল্লাহ ৭০ বলে ৫৬ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ১টি ছয়।
সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে ৬৪ বলে ৪৩ রান আসে। তৌহিদ হৃদয় স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। তিনি ৩ বলে ৭ রান করে নিজের উইকেট হারান। মেহেদী হাসান ৩০ বলে ২৫ রান করেন। শেষমেশ ৪৫.১ ওভারে ১০ উইকেটে ২০৪ রান করে বাংলাদেশ। শাহীন আফ্রিদি এবং মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। হারিস রউফ ২টি উইকেট নেন। ইফতিখার আহমেদ এবং উসামা মির ১টি করে উইকেট পান।
১০৫ বল বাকি থাকতেই ম্যাচটি জিতে নেয় পাকিস্তান
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণভাবে করে পাকিস্তান। দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক এবং ফখর জামান মিলে ১২৮ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ করেন। শফিক ৬৯ বলে ৬৮ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৯টি চার এবং ২টি ছয় মারেন। ফখর ৭৪ বলে ৮১ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার এবং ৭টি ছয়।
অধিনায়ক বাবর আজম খুব বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ১৬ বলে মাত্র ৯ রান করে নিজের উইকেট হারান। মহম্মদ রিজওয়ান এবং ইফতিখার আহমেদ যথাক্রমে ২১ বলে ২৬ রান এবং ১৫ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ৩২.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয় পাকিস্তান। মেহেদী হাসান মিরাজ ৯ ওভারে ৬০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান ফখর জামান।