ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ১৬ তম ম্যাচে হসমতউল্লাহ শাহিদীর নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানকে ১৪৯ রানে হারাল টম ল্যাথামের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড। ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এ এটি ছিল নিউজিল্যান্ডের চতুর্থ জয়।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ে ১৮ বলে ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার উইল ইয়ং ৪টি চার এবং ৩টি ছয় সহ ৬৪ বলে ৫৪ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। তিনি এবং রাচিন রবীন্দ্র মিলে ৭৯ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ করেন। রাচিন ৪১ বলে ৩২ রান করে আউট হন। শুরুটা ভালোভাবে করলেও পরপর উইকেট হারানোর কারণে সমস্যার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। টম ল্যাথাম এবং গ্লেন ফিলিপস মিলে নিউজিল্যান্ডকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। তারা দুজনে মিলে ১৪৪ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন।
ল্যাথাম ৭৪ বলে ৬৮ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৩টি চার এবং ২টি ছয় মারেন। ফিলিপস ৪টি চার এবং ৪টি ছয় সহ ৮০ বলে ৭১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। মার্ক চ্যাপম্যান এবং মিচেল স্যান্টনার যথাক্রমে ১২ বলে ২৫ রান এবং ৫ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। নবীন-উল-হক এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২টি করে উইকেট পান। রশিদ খান এবং মুজিব উর রহমান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
৯২ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালোভাবে করতে পারেনি আফগানিস্তান। তারা মাত্র ৪৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান যথাক্রমে ২১ বলে ১১ রান এবং ১৫ বলে ১৪ রান করেন। অধিনায়ক হসমতউল্লাহ শাহিদীও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তিনি ২৯ বলে মাত্র ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
রহমত শাহ এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই যথাক্রমে ৬২ বলে ৩৬ রান এবং ৩২ বলে ২৭ রান করেন। মহম্মদ নবি এবং রশিদ খান স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। নবি ৯ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন। অন্যদিকে, রশিদ ১৩ বলে মাত্র ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ইকরাম আলিখিল ২১ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ৩৪.৪ ওভারে মাত্র ১৩৯ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। মিচেল স্যান্টনার এবং লকি ফার্গুসন ৩টি করে উইকেট নেন। ট্রেন্ট বোল্ট ২টি উইকেট শিকার করেন। ম্যাট হেনরি এবং রাচিন রবীন্দ্র ১টি করে উইকেট পান। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন গ্লেন ফিলিপস।