ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এ নিজেদের প্ৰথম ম্যাচে জয় পেল বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। বাস ডি লিডের অসাধারণ পারফরম্যান্স শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের কোনো কাজে এল না। বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলের কাছে ৮১ রানে পরাজিত হল তারা।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্ৰথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। পাকিস্তান শুরুটা একেবারেই ভালোভাবে করতে পারেনি। তাদের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার ৩৮ রানের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন। দুই ওপেনার ফখর জামান এবং ইমাম-উল-হক যথাক্রমে ১৫ বলে ১২ রান এবং ১৯ বলে ১৫ রান করেন। অধিনায়ক বাবর আজম ১৮ বলে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন। এরপর, মহম্মদ রিজওয়ান এবং সাউদ শাকিলের ১২০ রানের অসাধারণ পার্টনারশিপের হাত ধরে ভালো পরিস্থিতিতে পৌঁছয় পাকিস্তান। রিজওয়ান এবং শাকিল যথাক্রমে ৭৫ বলে ৬৮ রান এবং ৫২ বলে ৬৮ রান করেন। ইফতিখার আহমেদ এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
মহম্মদ নওয়াজ ৪৩ বলে ৩৯ রান করতে সক্ষম হন। অন্যদিকে, শাদাব খান ৩৪ বলে ৩২ রান করেন। তাদের মধ্যে ৬৪ রানের একটি দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। শেষমেশ ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল। বাস ডি লিড ৯ ওভারে ৬২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন। কলিন অ্যাকারম্যান ২টি উইকেট নিতে সক্ষম হন। আরিয়ান দত্ত, লোগান ভ্যান বিক এবং পল ফান মিকেরেন ১টি করে উইকেট পান।
৯ ওভার বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস
এই ম্যাচে বাস ডি লিড এবং বিক্রমজিৎ সিং বাদে নেদারল্যান্ডসের আর কোনও ব্যাটার খুব বেশি রান করতে পারেননি। বল হাতে ৪ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৬৮ বলে ৬৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ডি লিড। বিক্রমজিৎ ৬৭ বলে ৫২ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন।
নেদারল্যান্ডসের ইনিংস ৪১ ওভারে ২০৫ রানে শেষ হয়ে যায়। এই ম্যাচে পাকিস্তানের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন হারিস রউফ। তিনি ৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। হাসান আলি ২টি উইকেট শিকার করেন। শাহীন আফ্রিদি, শাদাব খান, মহম্মদ নওয়াজ এবং ইফতিখার আহমেদ ১টি করে উইকেট নিতে সক্ষম হন। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান সাউদ শাকিল।