অনেক বড় জয় পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। গুজরাট জায়ান্টসকে ৮ উইকেটে পরাজিত করল স্মৃতি মান্ধানার নেতৃত্বাধীন দল। এই ম্যাচ জিতে নিয়ে নিজেদের প্লেঅফসে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল আরসিবি।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট জায়ান্টাস। দুই ওপেনার শুরুটা দ্রুতগতিতেই করলেও সোফিয়া ডাঙ্কলি বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। তিনি ১০ বলে ১৬ রান করে সোফি ডিভাইনের বলে বোল্ড হন। তবে আরেক ওপেনার লরা উলভার্ট ৪২ বলে ৬৮ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার এবং ২টি ছয়।
সাব্বিনেনি মেঘনা একটি ধীরগতির ইনিংস খেলেন। তিনি ৩২ বলে ৩১ রান করেন। তার এবং ডাঙ্কলির মধ্যে ৬৩ রানের একটি ভালো পার্টনারশিপ হয়। এরপর প্রীতি বোসের বলে স্ট্যাম্প আউট হন মেঘনা। এরপর ডাঙ্কলি এবং অ্যাশলে গার্ডনারের মধ্যে ৫২ রানের পার্টনারশিপ হয়। ডাঙ্কলি শ্রেয়াঙ্কা পাটিলের বলে প্রীতি বোসের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অ্যাশলে গার্ডনারও ২৬ বলে ৪১ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলে শ্রেয়াঙ্কার শিকার হন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ১টি ছয়।
শেষে হেমলতা এবং হারলিন মিলে দারুণভাবে ইনিংসের শেষ করেন। হেমলতা ও হারলিন যথাক্রমে ৬ বলে অপরাজিত ১৬ এবং ৫ বলে অপরাজিত ১২ রান করেন। গুজরাট জায়ান্টাস ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৮ রান করে।
সোফি ডিভাইনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ধরাশায়ী হল গুজরাট জায়ান্টাস
রান তাড়া করতে নেমে অসাধারণ শুরু করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অবশেষে ব্যাট হাতে রান পান আরসিবির অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। আরেক ওপেনার সোফি ডিভাইন মাত্র ২০ বলে অর্ধশতরান করেন। স্মৃতি ও ডিভাইন মিলে মাত্র ৮ ওভারের মধ্যেই ১০০ রানের পার্টনারশিপ সম্পূর্ণ করেন। দুজনের মধ্যে ১২৫ রানের পার্টনারশিপ হয়। এরপর স্মৃতি মান্ধানা ৩১ বলে ৩৭ রান করে স্নেহ রানার বলে আউট হন। নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ হওয়ার পর আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন ডিভাইন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি ১ রানের জন্য শতরান পাননি। ৩৬ বলে ৯৯ রান করে কিম গার্থের বলে অশ্বনী কুমারীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সোফি ডিভাইন।
এরপর এলিস পেরি এবং হিদার নাইট মিলে আরসিবিকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। পেরি ও নাইট যথাক্রমে ১২ বলে অপরাজিত ১৯ রান এবং ১৫ বলে ২২ অপরাজিত রান করেন। ২৭ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে ১৮৯ রানে পৌঁছে যায় আরসিবি। কিম গার্থ এবং স্নেহ রানা ১টি করে উইকেট নেন। এই ম্যাচে দারুন ব্যাটিং প্রদর্শন করার জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার পান সোফি ডিভাইন।