ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ৪২ তম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে আফগানিস্তান। এই ম্যাচে প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ১০ উইকেটে ২৪৪ রান তুলল আফগানিস্তান।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক হসমতউল্লাহ শাহিদী। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান মিলে ৪১ রানের পার্টনারশিপ করেন। গুরবাজ ৩টি চার এবং ১টি ছয় সহ ২২ বলে ২৫ রান করেন। জাদরান ৩০ বলে মাত্র ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। রহমত শাহ স্কোরবোর্ডে ৪৬ বলে ২৬ রান যোগ করতে সক্ষম হন। হসমতউল্লাহ শাহিদী ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তিনি ৭ বলে মাত্র ২ রান করে নিজের উইকেট হারান। ইকরাম আলিখিল এবং মহম্মদ নবির ব্যাট থেকে বেশি রান আসেনি। আলিখিল ১৪ বলে মাত্র ১২ রান করেন। নবি ৩ বলে ২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
আফগানিস্তান মাত্র ১১৬ রানের মধ্যেই ৬টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ১০৭ বলে অপরাজিত ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের হাত ধরে শেষমেশ সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছয় আফগানিস্তান। তিনি এবং রশিদ খান মিলে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ করেন। রশিদ ৩০ বলে মাত্র ১৪ রান করতে সক্ষম হন। নূর ৩২ বলে ২৬ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তার এবং আজমতউল্লাহের মধ্যেও ৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। মুজিব উর রহমান ৫ বলে ৮ রান করে আউট হন। নবীন-উল-হক ৪ বলে ২ রান করে রান আউট হন।
জেরাল্ড কোয়েটজি ৪টি উইকেট নেন
এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সবথেকে সফল বোলার ছিলেন জেরাল্ড কোয়েটজি। তিনি ১০ ওভারে ৪৪ রান দেন এবং ৪টি উইকেট শিকার করেন। তিনি ইব্রাহিম জাদরান, ইকরাম আলিখিল, নূর আহমেদ এবং মুজিব উর রহমানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
লুঙ্গি এনগিডি এবং কেশব মহারাজ যথাক্রমে ৮.৩ ওভারে ৬৯ রান এবং ১০ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। এনগিডি রহমত শাহ এবং মহম্মদ নবিকে আউট করেন। মহারাজ রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং হসমতউল্লাহ শাহিদীর উইকেট নিতে সক্ষম হন। অ্যান্ডিল ফেহলাকওয়াইও ৭ ওভারে ৩৬ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন। তিনি রশিদ খানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।