ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর মঞ্চে শ্রীলঙ্কাকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টে এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে, কুশল মেন্ডিসের নেতৃত্বাধীন দলের জন্য এটি ছিল ষষ্ঠতম পরাজয়।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতেই নিজের উইকেট হারান কুশল পেরেরা। তিনি ৫ বলে মাত্র ৪ রান করেন। অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকেও বেশি রান আসেনি। তিনি ৩০ বলে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।পথুম নিসাঙ্কা ৮টি চার সহ ৩৬ বলে ৪১ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। সাদিরা সামারাবিক্রমাও ভালো রান পেয়েছেন। তিনি ৪২ বলে ৪১ রান করতে সক্ষম হন। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস দুর্ভাগ্যবশত টাইমড আউট হন। শ্রীলঙ্কা মাত্র ১৩৫ রানের মধ্যে ৫টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। এরপর, চরিথ আসালাঙ্কা এবং ধনঞ্জয় দি সিলভা মিলে পরিস্থিতি সামাল দেন। তাদের মধ্যে ৭৮ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। ধনঞ্জয় ৪টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৩৬ বলে ৩৪ রান করেন। আসালাঙ্কা ১০৫ বলে ১০৮ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ৫টি ছয়। মহেশ থিকসানা ৩১ বলে ২২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। শেষমেশ ৪৯.৩ ওভারে ২৭৯ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তানজিম হাসান সাকিব ৩টি উইকেট নিতে সক্ষম হন। সাকিব আল হাসান এবং শরিফুল ইসলাম ২টি করে উইকেট শিকার করেন। মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি উইকেট পান।
৮.৫ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচটি জিতে নেয় বাংলাদেশ
রান তাড়া করতে নেমে ৪১ রানের মধ্যেই ২টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান এবং লিটন দাস যথাক্রমে ৫ বলে ৯ রান এবং ২২ বলে ২৩ রান করেন। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাকিব আল হাসান মিলে ১৬৯ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ করেন। নাজমুল ১২টি চার সহ ১০১ বলে ৯০ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে, সাকিব ৬৫ বলে ৮২ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ১২টি চার এবং ২টি ছয় মারেন।
মাহমুদউল্লাহের ব্যাট থেকে ২২ রান আসে। মুশফিকুর রহিম বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ১৩ বলে ১০ রান করে নিজের উইকেট হারান। তৌহিদ হৃদয় এবং তানজিম হাসান সাকিব যথাক্রমে ৭ বলে ১৫ রান এবং ৬ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ৪১.১ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮২ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয় বাংলাদেশ। দিলশান মাদুশঙ্কা ৩টি উইকেট শিকার করেন। মহেশ থিকসানা এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ২টি করে উইকেট পান।