প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চালের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাঞ্চলকে ৭৫ রানে পরাজিত করে দলীপ ট্রফি ২০২৩-এর চ্যাম্পিয়ন হল হনুমা বিহারীর নেতৃত্বাধীন দক্ষিণাঞ্চল। পঞ্চম দিনে এসে তারা এই জয় পেয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চলের দুই ওপেনার রবি সমর্থ এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল যথাক্রমে ২৪ বলে ৭ রান এবং ৪৭ বলে ২৮ রান করেন। প্রতিভাবান ব্যাটার তিলক ভার্মা ৫টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৮৭ বলে ৪০ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক হনুমা বিহারী ১৩০ বলে ৬৩ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার। এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর বাদে দক্ষিণাঞ্চলের আর কোনও ব্যাটার ২০ রানের গন্ডি পার করতে পারেননি। সুন্দর ২টি চার সহ ৬২ বলে ২২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। শেষমেশ ৭৮.৪ ওভারে ১০ উইকেটে ২১৩ রান করে দক্ষিণাঞ্চল।
প্ৰথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় পশ্চিমাঞ্চল। পৃথ্বী শ বাদে আর কেউই তেমন ভালো রান পাননি। শ ৯টি চার সহ ১০১ বলে ৬৫ রান করেন। বিদ্বাথ কাভেরাপ্পা অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেন। তিনি ১৯ ওভারে মাত্র ৫৩ রান দিয়ে ৭টি উইকেট শিকার করেন। এই ইনিংসে ৫১ ওভারে ১০ উইকেটে মাত্র ১৪৬ রান করে পশ্চিমাঞ্চল।
অনেক চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারলেন না প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল
দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ১০ উইকেটে ২৩০ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণাঞ্চল। হনুমা বিহারী ৭টি চার সহ ৮৯ বলে ৪২ রান করেন। ধর্মেন্দ্রসিন্ জাদেজা ২২.১ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৫টি উইকেট শিকার করেন।
জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৮ রান করতে হত পশ্চিমাঞ্চলকে। কিন্তু তারা ২২২ রানে অলআউট হয়ে যায়। অধিনায়ক প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল ২১১ বলে ৯৫ রানের একটি লড়াকু ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ১১টি চার মারেন। সরফরাজ খান ৭৬ বলে ৪৮ রান করেন। ভাসুকি কৌশিক এবং রবিশ্রীনিবাসন সাই কিশোর যথাক্রমে ২৫ ওভারে ৩৬ রান এবং ২০.২ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ৪টি করে উইকেট নেন।