ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ৩১ তম ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৪৫.১ ওভারে ১০ উইকেটে ২০৪ রান তুলতে সক্ষম হল সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দল।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওপেনার তানজিদ হাসান ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন। তিনি এই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। আরেক ওপেনার লিটন দাস ৬টি চার সহ ৬৪ বলে ৪৫ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। নাজমুল হোসেন শান্ত বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ৩ বলে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকেও বেশি রান আসেনি। তিনি ৮ বলে মাত্র ৫ রান করে নিজের উইকেট হারান। এরপর লিটন এবং মাহমুদউল্লাহ মিলে বাংলাদেশের ইনিংসের হাল ধরেন। তাদের মধ্যে ৭৯ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। মাহমুদউল্লাহ এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। তিনি ৭০ বলে ৫৬ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৬টি চার এবং ১টি ছয় মারেন।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৬৪ বলে ৪৩ রান করতে সক্ষম হন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার। তৌহিদ হৃদয় স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। তিনি ৩ বলে ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মেহেদী হাসান মিরাজ শুরুটা বেশ ভালোভাবে করেছিলেন, কিন্তু তিনি বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। তিনি ১টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৩০ বলে ২৫ রান করতে সক্ষম হন। তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান যথাক্রমে ১৩ বলে ৬ রান এবং ৭ বলে ৩ রান করেন। শরিফুল ইসলাম ৪ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শাহীন আফ্রিদি এবং মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৩টি করে উইকেট শিকার করেন
শাহীন আফ্রিদি এবং মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র যথাক্রমে ৯ ওভারে ২৩ রান এবং ৮.১ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট নিতে সক্ষম হন। শাহীন তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মাহমুদউল্লাহের উইকেট শিকার করেন। অন্যদিকে, মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমানকে আউট করেন।
হারিস রউফ ৮ ওভারে ৩৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন। মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসানকে আউট করেন। ইফতিখার আহমেদ এবং উসামা মির ১টি করে উইকেট শিকার করেন। ইফতিখার লিটন দাসকে আউট করেন। অন্যদিকে, মির তৌহিদ হৃদয়ের উইকেট নেন। এই ম্যাচটিতে শেষমেশ কোন দল জয় পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।