বিশ্বকাপের মঞ্চে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে আফগানিস্তান। বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের জা.ানাট কিলার বলেই ডাকা হয়ে থাকে। সেই নামটা যে কতটা সটিক তা বিশ্বকাপের মঞ্চে সকলকে বেশ ভালভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন রশিদ খানরা। ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের পর এবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও বিধ্বংসী ফর্মে আফগানিস্তান। ফজলহক ফারুকির স্পেলের সামনে কার্যত চতাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল শ্রীলঙ্কা। কেরিয়ারের শততম ওডিআই ম্যাচে এখন জয়ের স্বপ্নই রয়েছে রশিদ খালের চোখে। মাত্র ২৪১ রানেই শেষ শ্রীলঙ্কা বাহিনী।
এবারের বিশ্বকাপের মঞ্চে শুরুটা সেভাবে করতে পারেনি আফগানিস্তান। বরং একের পর এক ম্যাচে খানিকটা পিছিয়েই পড়েছিল তারা। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকেই যেন বদলে গিয়েছে চিত্রটা। ইং্লযান্ডকে হারিয়ে প্রথম ছমকটা এবার দেয় আফগানিস্তানষ এরপরই পাকিস্তানকে হারিয়ে ফের একটা চমক দিয়েছিল রশিদ খানের দল। সেই পারফরম্যান্সের ধারা এবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও ধরে রেখেছে তারা। ধারেভারে পিছিয়ে থেকে নামলেও শ্রীলঙ্কার তারকা ব্যাটারদের মাথা তুলে দাঁড়াতেই দিল না আফগান বোলাররা।
৩৪ রানে একাই চার উইকেট তুলে নিয়েছেন ফজল হক ফারুকি
কার্যত ফজলহক ফারুকির দাপটের সামনে মাথা তুলে দাঁজডডাতেই পারেনি তারা। এদিন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যেমন হিসাবী বোলিং করেছেন তিনি। তেমনই একের পর এক উইকেটও তুলে নিয়েছেন ফজলহ ক ফারুকি। শ্রীলঙ্কাকে ২৫০ রানের গন্ডীও টপকাতে দেয়নি তারা। এদিন টস জিতে শ্রীলঙ্কাকেই প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিল আফগানিস্তানের অধিনায়ক। সুরুটা পাথুম নিসাঙ্কার হাত ধরে বেশ ভালভাবেই করেছিল তারা। কিন্তু ৮২ রানের মাথায় নিসাঙ্কা আউট হওয়ার পর থেকেই বদলে যায় চিত্রটা। কোনও শ্রীলঙ্কার ব্যাটারই এদিন সেভাবে আফগহান বোলারদের বিরুদ্ধে মনাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।
এই ম্যাচেই কেরিয়ারের শততম ওডিআই ম্যাচে নেমেছিলেন রশিদ খান। ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে এক উইকেটই তুলতে পেরেছেন তিনি। রশিদ খানেক শততম ম্যাচের ম়্চে নায়ক অবস্য ফজলহক ফারুকি। তিনি একাই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এদিন চার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। দ্বিমুথ করুণারত্নে, চরিথ আসালঙ্কা থেকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজদের সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন এই ফজলহক ফারুকিই। আর তাতেই শ্রীলঙ্কার বড় রানের স্বপ্নও কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল। তিনি ১০ োভারে রানও দিয়েছেন মাত্র ৩৪।
শ্রীলঙ্কাকে ২৪১ রানেই শেষ করে দিয়েছিল আফদগানিস্তান। বোলারদের দক্ষতায় ভর করে শ্রীলঙ্কাকে কম রানের মধ্যে থামিয়ে দিতে পেরেছে আফগান বোলাররা। এবার ব্যাটারদের পরীক্ষা। শেষপর্যন্ত তারা জিতে মাঠ ছাড়তে পারেন কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।