ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ২৩ তম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশ একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এই ম্যাচে প্ৰথম ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮২ রান তুলল এডেন মার্করামের নেতৃত্বাধীন দল।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এডেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই রিজা হেন্ড্রিক্সের উইকেট হারায়। তিনি ১টি চার সহ ১৯ বলে মাত্র ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। রাসি ফান ডার ডুসেন এই ম্যাচে ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন। তিনি ৭ বলে মাত্র ১ রান করে নিজের উইকেট হারান। দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৩৬ রানের মধ্যে ২টি উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর কুইন্টন ডি কক এবং এডেন মার্করাম মিলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের হাল ধরেন। তাদের মধ্যে ১৩১ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস গড়ে ওঠে। এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ডি কক। তিনি ১৪০ বলে ১৭৪ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ১৫টি চার এবং ৭টি ছয় মারেন। মার্করামও একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তিনি ৭টি চার সহ ৬৯ বলে ৬০ রান করতে সক্ষম হন।
হেনরিখ ক্লাসেন ৪৯ বলে ৯০ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসটিতে ছিল ২টি চার এবং ৮টি ছয়। তিনি এবং কুইন্টন ডি কক মিলে ১৪২ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ করেন। শেষে ডেভিড মিলার ১টি চার এবং ৪টি ছয় সহ ১৫ বলে ৩৪ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মার্কো জ্যানসেন ১ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের বোলাররা খুব একটা ভালো পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করতে পারেননি
এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সবথেকে বেশি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। তবে তিনি অনেক রান দিয়ে ফেলেন। ২৪ বছর বয়সী এই পেসার ৬ ওভারে ৬৭ রান দেন এবং ২টি উইকেট শিকার করতে সক্ষম হন। তিনি কুইন্টন ডি কক এবং হেনরিখ ক্লাসেনকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
মেহেদী হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম এবং সাকিব আল হাসান যথাক্রমে ৯ ওভারে ৪৪ রান, ৯ ওভারে ৭৬ রান এবং ৯ ওভারে ৬৯ রানের বিনিময়ে ১টি করে উইকেট নেন। শরিফুল রিজা হেন্ড্রিক্সের উইকেট নিতে সক্ষম হন। মেহেদী রাসি ফান ডার ডুসেনকে আউট করেন। অন্যদিকে, অধিনায়ক সাকিব এডেন মার্করামকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। শেষমেশ এই ম্যাচটিতে কোন দল জয় পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।