ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ২২ তম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। এই ম্যাচটিতে প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮২ রান তুলতে সক্ষম হল বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক এবং ইমাম-উল-হক মিলে ৫৬ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ করেন। ইমাম খুব বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ২টি চার সহ ২২ বলে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর শফিক এবং বাবর আজমের মধ্যে ৫৪ রানের পার্টনারশিপ হয়। শফিক ৭৫ বলে ৫৮ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলে নিজের উইকেট হারান। তিনি এই ইনিংসে ৫টি চার এবং ২টি ছয় মারেন।
এই ম্যাচে ৯২ বলে ৭৪ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন বাবর আজম। তার এই ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ১টি ছয়। মহম্মদ রিজওয়ান স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। তিনি ১০ বলে মাত্র ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। সাউদ শাকিল শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেন, কিন্তু তিনি সেটিকে বড় ইনিংসে রূপান্তরিত করতে ব্যর্থ হন। তিনি ৩টি চার সহ ৩৪ বলে ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ইফতিখার আহমেদ ২টি চার এবং ৪টি ছয় সহ ২৭ বলে ৪০ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। শাদাব খান ৩৮ বলে ৪০ রান করতে সক্ষম হন। শাহীন আফ্রিদি ৩ বলে ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
নূর আহমেদ খুব ভালো বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেন
এই ম্যাচে আফগানিস্তানের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন নূর আহমেদ। তিনি ১০ ওভারে মাত্র ৪৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। তিনি আবদুল্লাহ শফিক, বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
নবীন-উল-হক ৭ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিতে সক্ষম হন। তিনি শাদাব খান এবং ইফতিখার আহমেদের উইকেট নিতে সক্ষম হন। মহম্মদ নবি ১০ ওভারে মাত্র ৩১ রান দেন এবং ১টি উইকেট তুলে নেন। তিনি সাউদ শাকিলকে আউট করেন। আজমতউল্লাহ ওমরজাইও ১টি উইকেট নেন। তিনি ইমাম-উল-হককে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। এই ম্যাচটিতে শেষমেশ কোন দল জয় পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।