ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ৩৭ তম ম্যাচে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারত এবং টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এই ম্যাচে প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২৬ রান তুলতে সক্ষম হল ভারত।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভালোভাবে করেছিল ভারত। রোহিত শর্মা ২৪ বলে ৪০ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ২টি ছয়। তিনি এবং শুভমন মিলে ৬২ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ করেন। গিল শুরুটা ভালো করেছিলেন, কিন্তু তার ব্যাট থেকে বড় ইনিংস আসেনি। তিনি ৪টি চার এবং ১টি ছয় সহ ২৪ বলে ২৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ার মিলে ১৩৪ রানের একটি অসাধারণ পার্টনারশিপ করেন। শ্রেয়াস ৮৭ বলে ৭৭ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৭টি চার এবং ২টি ছয় মারেন।
বিরাট কোহলি ১২১ বলে ১০১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার। এটি ছিল তার ৪৯ তম শতরান। সুতরাং, তিনি ওডিআই ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের সবথেকে বেশি শতরান করার রেকর্ডের সমানে চলে এসেছেন। কেএল রাহুল এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তিনি ১৭ বলে মাত্র ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। সূর্যকুমার যাদব মাত্র ১৪ বলে ২২ রান করে আউট হন। শেষে রবীন্দ্র জাদেজা ৩টি চার এবং ১টি ছয় সহ ১৫ বলে ২৯ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সবথেকে কম রান দেন কেশব মহারাজ
এই ম্যাচে লুঙ্গি এনগিডি, মার্কো জ্যানসেন, কাগিসো রাবাডা, কেশব মহারাজ এবং তাবরেজ শামসি প্রত্যেকেই ১টি করে উইকেট নেন। মহারাজ খুব ভালো পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেন। তিনি ১০ ওভারে মাত্র ৩০ রান দেন এবং শুভমন গিলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
কাগিসো রাবাডা ১০ ওভারে ৪৮ রান দেন। তিনি রোহিত শর্মাকে আউট করতে সক্ষম হন। মার্কো জ্যানসেন অনেক রান দেন। তিনি ৯.৪ ওভারে ৯৪ রান দিয়ে কেএল রাহুলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। লুঙ্গি এনগিডি শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেটটি নিতে সক্ষম হন। তাবরেজ শামসি সূর্যকুমার যাদবকে আউট করেন। শেষমেশ এই ম্যাচে কোন দল জয় পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।