বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে বরাবরই ভয়ঙ্কর অস্ট্রেলিয়া। সেটাই ইডেন গার্ডেন্সে ফের একবার একবার যেন বোঝাতে শুরু করেছে অস্ট্রলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ ঘিরে এদিন উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। সেখানেই বিশ্বকাপের মঞ্চে এক নতুন রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া। চলতি ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম দল হিসাবে ম্যাচের প্রথম ৮ ওবারে একটিও বাউন্ডারি না দেওয়ার রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্ক, জশ হেজেলউডদের দাপটে ম্যাচের শুরু থেকেই কার্যত কোনঠাসা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ।
যে পাওয়ার প্লে-তে সকলে বড় রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক পারফরম্যা্ন্স দেখায়। সেখানেই কার্যত দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপকে বোতলবমৃন্দী করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। দির্ধর্ষ বোলিংয়ের পাশাপাশি তেমনই অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। আর তাতেই ম্যাচের ৫২ বল পর্যন্ত একটিও বাউন্ডারি গলাতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। বরং চাপে পড়ে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে তারা। এই পারফরম্যান্স দেখিয়েই এক নতুন রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া।
পাওয়ার প্লের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার চার উইকেট তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া
টস জিতে এদিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। শুরু থেকেই লক্ষ্যটা চিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বডড রান তৈরি করার। সেইসঙ্গে আক্রমণাত্মক খেলার পরিকল্পনাও যে তাদের ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সেই পরিকল্পনাই এদিন ভেস্তে দিল অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইনআপ। বিশেষ করে মিচেল স্টার্ক ও জশ হেজেলউডের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকা তারকা টপ অর্ডার মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগই পায়নি এদিন। শুরুতেই এদিন টেম্বা বাভুমার উইকেট প্রথম ওভারে তুলে ধাক্কাটা দিয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক।
সেই ওভার থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াতে শুরু করেছিল তারা। অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনাটা সেই সময় থেকেই বেশ স্পষ্ট ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্ডারির চেষ্টা আটকে তাদের হতাশ করে দেওয়া। সেই কাজটাই ডেভিড ওয়ার্নার, মার্নাস লাবুশানে এবং অন্যান্য ফিল্ডাররা বেশ ভালভাবেই করেছিলেন। সেই পাতা ফাঁদে পা দিয়েই শেষপর্যন্ত খারাপ শট খেলে জশ হেজেলউডের বলে প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল কুইন্টন ডিকক-কে।
এবারের বিশ্বকাপে তিনিই ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা পারফর্মার। একইসঙ্গে এডেন মার্করাম এবং ফান ডার ডুসেনের মতো তারকা ব্যাটারদেরও সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।